কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে অষ্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে ২০২৯ এর পরে বাজার সুবিধা অব্যহত রাখা ও জ্বালানি খাতে অধিক বিনিয়োগের জন্যও আহবান জানাবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সম্পর্কে একটি রূপান্তর (ট্রান্সফরমেশন) হয়েছে এবং এই গতিকে আমরা ধরে রাখতে চাই।’
দুই দেশের সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা রয়েছে এবং আরও অনেক কিছু করার সুযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য সুবিধা অব্যহত রাখা, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা অন্যান্য বিষয় নিয়ে দুইদেশের মধ্যে আলোচনা হবে।’
কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা২০১৪ সালে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা এখনো বলবৎ আছে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের বিমানবন্দরের সক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি আমরা জোরালোভাবে তুলবো।’
এ বিষয়ে অনেকদিন ধরে দুইপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ’আমরা আশা করি দ্রুতই এটি প্রত্যাহার করা হবে।’
ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণবর্তমানে প্রায় ৮০ হাজারের মতো বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়াতে বসবাস করছে এবং এরমধ্যে অনেক ছাত্রও আছে। অস্ট্রেলিয়ান ভিসা দিল্লি থেকে প্রক্রিয়া হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হয় বাংলাদেশিদের।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘খরচ কমানোর জন্য দিল্লি থেকে ভিসা প্রক্রিয়া করা হয় বলে আমাদেরকে অস্ট্রেলিয়ানরা জানিয়েছে। আমরা চাই গোটা প্রক্রিয়াটি যেন বাংলাদেশ থেকে সম্পন্ন হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
এ বিষয়ে অগগ্রতি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কূটনৈতিকভাবে এই আলোচনা আমরা অব্যহত রাখবো।
বাজার সুবিধাঅস্ট্রেলিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশ করে এবং এই সুবিধা যেন ২০২৯ এর পরে অব্যাহত থাকে সেই জন্য অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ’স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে বাজার সুবিধা ২০২৯ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। এরপরে নতুন কি ব্যবস্থায় বাজার সুবিধা অব্যহত রাখা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা এখন থেকে শুরু দরকার।’
এ বিষয়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা অন্য কিছু করা যায় কিনা সেটি নিয়ে দুইপক্ষ আলোচনা করবে বলে তিনি জানান।
জ্বালানি খাতঅস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি সান্টোস বাংলাদেশে কাজ করছে এবং ওই দেশের আরও কোম্পানি যেন বাংলাদেশে সুমদ্রে বিনিয়োগ করে সে বিষয়ে জোর দেবে বাংলাদেশ। এছাড়া রোহিঙ্গা, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানায় একজন কর্মকর্তা।