শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে দর্শকের সামনে আসতে চলেছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তার প্রথম সিনেমা হিসেবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘তুমি আছো তুমি নেই’। ১২ মার্চ মুক্তি পাবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত এই ছবিটি।
সম্প্রতি এর ট্রেলার প্রকাশ হলে সেটি ব্যাপকভাবে সমালোচনার শিকার হয়। এতে বিব্রত হন দীঘিও। তিনিও সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে দাবি করেন, ‘ছবিটি বেশ মানহীন। সিনেমাটি চলবে না।’
এই মন্তব্যের জন্য এবার ১ কোটি টাকার মানহানি মামলার মুখে পড়তে যাচ্ছেন দীঘি। মামলাটি করবেন তারই সিনেমার পরিচালক ঝন্টু। ইউটিউবে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে ছবির নায়িকা হয়েও সমালোচনা করার জন্যই দীঘির বিরুদ্ধে এ হুমকি দেন পরিচালক।
ওই সাক্ষাৎকারে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বলেন, ‘আজকালের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে ওর (দীঘি) কাছে উকিল নোটিশ চলে যাবে। আমি ওকে ছাড়ব না।’
গত ৮ মার্চ একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয় ঝন্টুর সাক্ষাৎকারটি। এ সময় তার সঙ্গে সিনেমার প্রযোজক সিমিকেও দেখা যায়। সেখানে ঝন্টু অভিযোগের সুরে বলেন, “নায়িকা হয়েও দীঘি ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার সমালোচনা করেছে। এটা ঠিক হয়নি। সে নায়িকা। তার কথায় দর্শক বিমুখ হবে। এতে সিনেমাটি চলবে না। দীঘির জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতি হবে আমার।’
আমি ওকে ছাড়ব না। যেভাবেই হোক আমি ওকে ছাড়ব না। দীঘি যখন বলেছে, ‘সিনেমাটি চলবে না’ তখন পরিচালক হিসেবে আমারও মানহানি হয়েছে। আমি মানহানি মামলা করব দীঘি ও তার মামার নামে।
কারণ শুটিং, ডাবিংয়ের সময় দীঘি এ সিনেমার প্রশংসা করেছে, এখন কেন সে সমালোচনা করছে। ডেফিনেটলি দেয়ার ইজ সামথিং রং।’
উত্তেজিত কণ্ঠে এ নির্মাতা আরও বলেন, ‘আমি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বাংলাদেশে আরেকটি নেই। উপমহাদেশে আমার মতো একজন চলচ্চিত্রকার নেই। উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি আমি। আমি দুই কোটি টাকা নিয়ে সিনেমা বানিয়েছি, ২০ লাখ দিয়েও বানিয়েছি। চলচ্চিত্র মেধা দিয়ে তৈরি হয়, টাকা দিয়ে নয়।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করে দীঘিকে না পাওয়া গেলেও তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বলেন, ‘এসব নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না।’