ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনাভাইরাস: ২ মাস পর হাজার ছাড়াল দৈনিক শনাক্ত রোগী
Published : Thursday, 11 March, 2021 at 12:00 AM
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ১৮ জন।
এর আগে সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক দিনে এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল, সেদিন ১ হাজার ৭১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিনের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচেই ছিল।
সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর হারও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত একদিনে পরীার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসার পর এক পর্যায়ে তা ৩ শতাংশের নিচেও নেমেছিল। তবে মার্চের শুরু থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনাক্তের হারও বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার তা আবার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।  
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় সব মিলিয়ে দেশে মৃতের মোট সংখ্যা ৮ হাজার ৪৯৬ জনে পৌঁছাল।
আর গত এক দিনে আরও ১ হাজার ১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ২৬৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬১৩ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে গতবছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার এক বছর পর এ বছর ৭ মার্চ শনাক্ত রোগীর সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৭৫ লাখ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৭২টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৯টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৩২টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৮৮টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮২টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের তিনজনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। তিনজনর বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৪ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৪৯৬ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৪২৪ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৭২ জন নারী।
তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৭২৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ১০৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৬৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৫৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৭০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৮১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৬ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১১ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।