শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধনে ফের হামলা
Published : Saturday, 20 March, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ।।
ব্রা?হ্মনবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর আর.এন.টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল-আমিন খানের উপর হামলা করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন পন্ড করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার গাজীরহাট সেতুর উপর আয়োজিত ওই মানববন্ধনে ওই ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক পরিষদ চত্তরে প্রকাশ্য দিবালোকে এ হামলা করে। আহত প্রধান শিক্ষক আল-আমিন খান বর্তমানে ব্রা?হ্মনবাড়িয়ার একটি হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, ঢাকাস্থ মুরাদনগর উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রুবেল সরকার, বাঙ্গরা বাজার থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, সমাজ সেবক আরিফ খান। অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, লোকমান হোসেন মেম্বার, ডাক্তার শওকত হোসেন, সমাজ সেবক লিটন সরকার, টিপু মিয়া, আল-আমিন খান ও শিশু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক আল আমিন মুরাদনগর উপজেলার জারেরা (জাড্ডা) গ্রামের মৃত ওয়াহিদ খানের ছেলে। সে যেমন ওই বিদ্যালয়ে সুনামের সাথে চাকরি করছিলেন, তেমনি নিজ গ্রামেও বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তাঁর উপস্থিতি ছিলেন সরব। তাঁর উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মারাত্বক ভাবে মর্মাহত। বক্তারা অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেককে আইনের আওতায় এনে তাকে পদ থেকে অপসারণের দাবি জানায়। অন্যথায় কঠিন আন্দোলনসহ নবীনগর থেকে মুরাদনগর-কুমিল্লা-চট্টগ্রামগামী সড়ক অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেয়।
শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির শেষের দিকে ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক সমর্থিত নবীনগর উপজেলার উত্তর বাঙ্গরা বাজার কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়ালের নেতৃত্বে একদল যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারিরা মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে বক্তব্য রাখা লোকজনকে কিল-ঘুষি মারে এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আচমকা এ ঘটনায় মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়া লোকজন আতংকে দিক-বেদিক ছুটাছুটি করে পড়ে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, মানববন্ধনে হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। যদি কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে হামলা কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শুনেছি নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এক শিক্ষককে মারধর করেছে। ওই শিক্ষকের বাড়ি বাঙ্গরা থানা এলাকায়।
নবীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আমিনুর রশীদ ঘটনার সত্যতা শিকার করে দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি উপজেলা পরিষদ ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বৈঠক বসে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।
বিষয়টির ব্যাপারে অভিযুক্ত নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক ঘটনার সত্যতা শিকার করে দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, আমি তাকে নিজ হাতে মারিনি। আমার লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে কয়েকটি চর-থাপ্পর মেরেছে। বিষয়টি এমপি সাহেব শেষ করার দায়িত্ব নিয়েছে।