Published : Tuesday, 23 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.03.2021 1:16:49 AM
মো. মিজানুর রহমান ।।
কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলা ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট,
এক্সরে মেশিন ও এনেসথেসিয়া মেশিনের অভাব, অ্যাম্বুলেন্স চালক, প্রথম
শ্রেণীর চিকিৎসক, মেডিক্যাল ট্যাকনোলজি, স্বাস্থ্য সহকারী, তৃতীয় ও চতুর্থ
শ্রেণীর কর্মচারীসহ ১৪৮টি পদের মধ্যে ৪৩টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০২০ সালের
ফেব্রুয়ারি থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী
বিভাগ চালু করা হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে শূন্য পদ পূরন, তৃতীয় ও চতুর্থ
শ্রেণীর জনবল পদায়ন এবং পুরাতন স্থাপনায় কিছু সংস্কার করলে অতিদ্রুত উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু করা হলে প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনতা উপকৃত হবে।
সূত্র
জানায়, ২০০৬ সালের ২০ মে তৎকালীণ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মিজানুর রহমান সিন্হা উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামে সাবেক কুমিল্লা সদর
দক্ষিণ পৌর উন্নয়ন কমিটির সদস্য আনোয়ার উল্লাহ এর বাড়িতে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স এর অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। পরে একই বছরের ১৭ অক্টোবর
শ্রীমন্তপুর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজের ভিত্তি
প্রস্তর স্থাপন করেন চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীণ স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ মন্ত্রী বর্তমান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ
হোসেন এমপি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বর্তমান বিএনপির চেয়ারপারসনের
উপদেস্টা ও সাবেক হুইপ মনিরুল হক চৌধুরী। অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ১৪ বছর ১০ মাস অতিবাহিত
হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আজো অন্তঃবিভাগ চালু হয়নি। যার ফলে
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনতা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশর্^বর্তী এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি
পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হলে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের
দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এতে হতাহতের ঘটনা হ্রাস পাবে
বলে মনে করছেন অভিγ মহল। উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০২০ সালের
জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (১ বছর ২ মাসে) ১ হাজার ৬২৪জন
রোগী জরুরী বিভাগ থেকে ও ৫৫ হাজার ১৪০জন রোগী বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা
গ্রহণ করছেন। অর্গ্রানোগ্রাম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট পদ
সংখ্যা ১৪৮টি। এর মধ্যে ৪৩টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রথম শ্রেণীর চিকিৎসকের পদ
১১টি। এর মধ্যে ২টি পদ শূন্য রয়েছে। ফার্মাসিস্ট পদ ১টি এটি শূন্য রয়েছে।
মেডিক্যাল ট্যাকনোলজি পদ ৪টি। এর মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য
সহকারীর পদ রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে ২০টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০২০ সালে
অ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ পেলেও অ্যাম্বুলেন্স চালকের পদটি শূন্য রয়েছে। কুক
পদে শূন্য ২টি। সুইপার ও ঝাড়–দারের পদ ৫টি। এর মধ্যে ৩টি পদ শূন্য রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন ও এনেসথেসিয়া মেশিনের সংকট
রয়েছে। শূন্যপদ পূরণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদায়ন এবং পুরাতন স্থাপনায়
কিছু সংস্কার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অতিদ্রুত চালু করার দাবী
জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে
জানান, তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৩১ শয্যা হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ চালু
করণ ও ৫০ শয্যার জনবল এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।