Published : Monday, 22 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 22.03.2021 12:38:48 AM
তানভীর
দিপু: কুমিল্লা জেলার জন্য বরাদ্দ করা করোনা ভাইরাসের সব টিকা
কুমিল্লাবাসীকেই দিতে হবে। চলতি মাসের মধ্যেই প্রথম ডোজ টিকাদান কর্মসূচি
সফলভাবে শেষ করতে হবে, যাতে কোনো টিকা উদ্বৃত্ত না থাকে এবং আগামী মাস থেকে
দ্বিতীয় ডোজ শুরু করা যায়। এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কুমিল্লা জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটি বলেছে, প্রথম ডোজের জন্য নির্ধারিত সময়ে বরাদ্দকৃত টিকা
মজুদ থাকলে তা যেন কুমিল্লাবাসীর জন্যই ব্যবহার করা হয়।
কুমিল্লায়
প্রথম বরাদ্দ আসা ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা প্রদান দ্রুত নিশ্চিত করার বিষয়ে
সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির
সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ বিষয়ে করোনা কমিটির উপদেষ্টা
সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সহযোগিতায় এই টিকা
প্রদানের শতভাগ নিশ্চয়তা আশা করেন তিনি।
গতকাল রবিবার কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
হয়। সভায় জেলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন কমিটির
সদস্যরা।
সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেইন জানান, ৩০
মার্চ পর্যন্ত প্রথম ডোজের বরাদ্দ ২ লাখ ৮৮ হাজার টিকা শেষ করার কথা।
কিন্তু আমাদের এখানে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৭ হাজারের মতো টিকা দেয়া হয়েছে।
উদ্বৃত্ত থাকলে চাহিদা অনুসারে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু
জেলা করোনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা আশা করছি, প্রথম ডোজের বরাদ্দ
সঠিকভাবে শেষ করতে পারবো। আগামী মাস থেকে আমাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্যও
কাজ শুরু করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান নির্দেশনা
দিয়ে বলেন, অন্য জেলায় যদি টিকাদান সফলভাবে সম্পন্ন হতে পারে, আমরা কেন
পারবো না? ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এজন্য সকল
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা করবেন।
কুমিল্লা
সদর আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার সুপারিশ করেন কুমিল্লা ইপিজেড
এলাকায় একটি করোনা রেজিস্ট্রেশন বুথ স্থাপনের জন্য, যেন ইপিজেডের শ্রমিকরা
করোনার টিকা নিতে আগ্রহী হন।
কুমিল্লায় ১ লাখ ৩৪ হাজার জনের করোনা
টিকার বরাদ্দ চাওয়া হয়। প্রথম ধাপে ২ লাখ ৮৮ হাজার ডোজ টিকা কুমিল্লায় আসে।
এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪ হাজার ৬০৯ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করলেও প্রয়োগ করা
হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার জনকে।