ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সাইদুরের লাশ এখনও ফেরত দেয়নি বিএসএফ
Published : Tuesday, 23 March, 2021 at 12:53 PM
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) পোস্টের কাছে বালুচরে এখনও পড়ে রয়েছে বাংলাদেশি যুবক সাইদুর রহমানের (২২) লাশ।

মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখন তার লাশ ফিরে পায়নি পরিবার।

নিহত সাইদুর সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়গোপ টিলার হতদরিদ্র ঠেলাগাড়ি চালক হবি রহমানের ছেলে।

সোমবার ভোরে জাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের সঙ্গে কয়লা কুড়াতে যান সাইদুর। এরপর সকালে তার পরিবার জানতে পারে- ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঘোমাঘাট বিএসএসফ পোস্টের কাছে জাদুকাটা নদীর পূর্ব তীরে বালুচরে তার লাশ পড়ে রয়েছে।

তবে কীভাবে সাইদুরের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি এবং বিএসএফের পোস্টের কাছেই কেন বা লাশটি পড়ে রয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ২৮ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সুনামগঞ্জের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তছলিম এহসান বলেন, ওই যুবকের তার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতের শিলং সেক্টরের ১১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বশীল পর্যায়ে আলাপ হয়েছে। আজ যে কোনো সময় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেবে বিএসএফ।

লাশ ফেরত আনার জন্য যে ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার তা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে সাইদুরের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে জানাতে পারেননি লে. কর্নেল মো. তছলিম এহসান। লাশ ফেরত পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে রোববার বিকালে নিহতের বাবা হবি রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে ভোরে জাদুকাটা নদীতে শ্রমিকদের সঙ্গে কয়লা কুড়াতে যায়। হয়তো অসাবধানতাবশত সীমান্তের মেইন পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে কয়লা কুড়াতে গিয়ে সে মৃত্যুর মুখে পড়ে। সকালে খবর পাই তার লাশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঘোমাঘাট বিএসএসফ পোস্টের কাছে জাদুকাটা নদীর পূর্ব তীরে বালুচরে পড়ে রয়েছে। আমার ছেলে ভারতে কেন কীভাবে মারা গেছে তা-ও নিশ্চিত হতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে স্বজনদের নিয়ে ছেলের লাশ আনতে সীমান্তের শূন্য রেখা বরাবর গেলে ভারতীয় ঘোমাঘাট বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা লাশের কাছেই যেতে দেয়নি। এমনকি বাঁধার মুখে ফিরে এসে বিষয়টি বিজিবি ক্যাম্পে অবহিত করি।