দেশে
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত
এটিই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে টানা তিনদিন দৈনিক শতাধিক মানুষের
মৃত্যু হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০২ জন নিয়ে ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হলো। এর
আগে শনি ও শুক্রবার ১০১ জন করে মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক
মৃত্যু কখনোই ৫০ এর নিচে নামেনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৬৯৮ জন নতুন
রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের
আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে দাঁড়াল।
সংক্রমণের দ্বিতীয়
ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর
মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৬ হাজার ১২১ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে
যায় গত ২৯ মার্চ। এর ঠিক ১৬ দিন পর ১৪ এপ্রিল ৭ লাখ ছাড়ায় মোট শনাক্ত।
প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫৭টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৪০৪টি
নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি নমুনা।
২৪
ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত
মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫
দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪১০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ আর নারী ৪৩ জন। তাদের ৯৭ জন হাসপাতালে এবং পাঁচ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের
মধ্যে ৬৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৪
জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের
মধ্যে ৬৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ রাজশাহী বিভাগের, ১
জন খুলনা বিভাগের এবং ৪ জন করে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মধ্যে সাত হাজার ৬৯৪ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৬৯১ জন নারী।