ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি
Published : Monday, 10 May, 2021 at 12:00 AM
লাকসাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকার য়তি সাধিত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি দল ঘটনাস্থলে এলেও আশপাশে পুকুর-জলাশয় না থাকায় পানি সঙ্কটে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বাজারের পাশে বিশালাকার জগন্নাথ দিঘি থাকলেও সেটির চারপাশে ওয়াক ওয়ে নির্মাণের জন্য পানি সেচন করায় কয়েক মাস ধরে শুকিয়ে আছে। এতে পানি সঙ্কটে আগুনের তীব্রতা বেড়ে য়তির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে ব্যবসায়িদের দাবি।
জানা গেছে, শনিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেট সংলগ্ন লাকসাম মিনি সুপার মার্কেট ও খাতুন মার্কেটের পশ্চিম গলির ৭টি দোকানে ভয়াবহ এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে ।
অগ্নিকা-ে লাকসাম মিনি সুপার মার্কেটের শফিকুর রহমানের শফি ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্সের ৩০ লাখ টাকা, রিপন হোসেনের মদিনা ইলেকট্রিকের ৫ লাখ, আক্তার হোসেনের বনফুল শো’রুমের ৩০ লাখ টাকা, লোকজিত আচার্যের অগ্রণী মেশিনারি এন্ড সেনেটারীর ২০ লাখ টাকা, খাতুন মার্কেটের পশ্চিম গলির ইমরান হোসেন মিলনের এসআর ইলেকট্রিকের ৪০ লাখ টাকা, রুবেল হোসেনের বিসমিল্লাহ কম্পিউটারের ১০ লাখ টাকা ও বিধান চন্দ্র ঘোষ এর নিউ মা মেডিকেল হলের ৫০ লাখ টাকার এবংমালামাল ও আসবাবপত্র এবং প্রায় ৬৫ লাখ টাকার মার্কেট স্থাপনাসহ প্রায় আড়াই কোটি টাকার য়তি হয় বেেল ভুক্তভোগীরা জানান। অগ্নিকান্ডে তিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই পাইকারি দোকান।
লাকসাম ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, রাত ১টা ৫৭ মিনিটে আগুনের খবর পাই। আমাদের তিনটি টিম ও কুমিল্লা ইপিজেডের একটি টিমসহ মোট ৪ টিম ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। তবে অগ্নিকা-ের সময় তীব্র পানির সঙ্কট ছিলো। আমরা সাথে করে ১৮শ লিটার পানি নিয়ে যাই। যা মাত্র সাড়ে সাত মিনিটে শেষ হয়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য এ পানি যথেষ্ট ছিলো না। পরে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার থেকে অনেকটা দূর গিয়ে পানি সংগ্রহ করতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সাইফুল আলম জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের তালিকা করে জেলা প্রশাসনের প থেকে যেটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।