কিন্তু শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতায় ফেরেন জিদানের শিষ্যরা। সেভিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোলের ব্যবধানে ড্র করে ১ পয়েন্ট অর্জন করে।
ফলে শিরোপার লড়াইয়ে আর শীর্ষে ওঠা হলো না। আগের মতোই অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হোঁচট খাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হবে। সঙ্গে জিততে হবে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ।
রোববার রাতে অবশ্য শুরুতেই সেভিয়ার জালে বল জড়িয়েছিলেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
কিন্তু তাকে ক্রস বাড়ানো আলভারো ওদ্রিওসোলার অফসাইডের দায়ে গোলবঞ্চিত হয় রিয়াল।
উল্টো ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় সেভিয়া। ডান দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে রাকিটিচ হেডে বল পান ফার্নান্দো। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে কাসেমিরোকে ছিটকে ওদ্রিওসোলাকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফার্নান্দো।
১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫০তম মিনিটে অনেক দূর থেকে শট নেন লুকা মদ্রিচ। কর্নারের বিনিময়ে জাল সুরক্ষিত রাখেন সেভিয়ার গোলরক্ষক। ওই কর্নারেই ডি-বক্সে সেভিয়ার একজনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি আবেদন জানান স্বাগতিকরা, তবে সাড়া দেননি রেফারি।
৬৫তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। গোলমুখে টনি ক্রুমের বাড়ানো বলে ঠিকমতো পা ছুঁলেই হয়তো সেটি জালে জড়াত। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাঁটুতে লেগে বল বাইরে চলে যায়।
এ সময় মদ্রিচের বদলি নামেন আসেনসিও। আর তাতেই ভাগ্য খুলে রিয়ালের।
৬৭তম মিনিটে ক্রুসের পাস ডি-বক্সের ডান দিকে পেয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন এক মিনিট আগে নামা আসেনসিও।
৭৫তম মিনিটে গোল বাঁচাতে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া বেনজেমাকে ফাউল করেন বোনো। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআরের সহায়তায় সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। আক্রমণের শুরুতে রিয়ালের ডি-বক্সে এদের মিলিতাওয়ের হাতে বল লেগেছিল। তাতে উল্টো পেনাল্টি পায় সেভিয়া।
এমন ঘটনায় ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায়। সফল স্পট কিকে দলকে আবারও এগিয়ে নেন রাকিতিচ।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচ গড়ায় যোগ করা সময়ে।
ওই যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে রিয়ালের মান বাঁচান টনি ক্রুস। দূর থেকে নেওয়া তার শট ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোসের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
রেফারির শেষ বাঁশিতে ২-২ গোলের ব্যবধানে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
এ ড্রয়ের পর ৩৫ রাউন্ড শেষে রিয়াল ও বার্সেলোনার পয়েন্ট সমান ৭৫। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে দুইয়ে রিয়াল। ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আথলেটিকো। ৭১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে সেভিয়াও আছে শিরোপা লড়াইয়ে।