জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট নিতে পাকিস্তানকে চতুর্থদিন সকালে মাঠে নামতে হয়েছে। রোববার তৃতীয়দিনেই জিতে যেত সফরকারীরা।
ফলো-অনে পড়া জিম্বাবুয়ে একসময় ভালো লড়াই করেছে। যখন তারা ১৪২/২। টেলর ও চাকাভার ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছিল স্বাগতিকরা।
কিন্তু এ দুজন আউট হতেই স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।
আজ চতুর্থ দিনে পাকিস্তান নেমেছে শুধু কত দ্রুত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জেতা যায়। অপেক্ষা ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির ৫ উইকেট পূরণের।
জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি শাহিন নিতে পারেন কি না তা নিয়েই ছিল উত্তেজনা। দিনের পঞ্চম ওভারেই সফল হলেন শাহিন।
ওভারের শেষ বলে লুক জঙ্গিকে কট বিহাইন্ডে পরিণত করে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করলেন শাহিন।
শাহিনকে ফাইফার বানানোর পেছনে বড় এক উদ্দেশ্য লুকিয়ে ছিল পাকিস্তানের।
আজ জঙ্গিকে আউট করে শাহিনের ৫ উইকেটে শিকারের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে তিনজন বোলারের ফাইফারের নজির গড়ল তারা।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার হাসান আলি। দ্বিতীয় ইনিংসে শাহিন ছাড়াও ৫ উইকেটে পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি।
প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ছয়বার ঘটল এই বিরল ঘটনা।
সবশেষ ১৯৯৩ সালে এমন ঘটনা দেখেছিল সাদা জার্সির খেলায়। প্রায় ২৮ বছর পর এবার সেই বিরল ইতিহাসে নাম লেখাল পাকিস্তান। একই ম্যাচে কোনো দলের তিন বোলার ফাইফার নিতে পেরেছেন।
আগেরদিন ৯ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। ইনিংস পরাজয় এড়াতে তাদের করতে হতো ১৫৮ রান। হাতে ছিল মাত্র ১ উইকেটে। ৩১ রানে অপরাজিত থেকে আজ মাঠে নামেম লুক জঙ্গি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন মুজারাবানি।
আজ সেই এক উইকেটে ১১ রান যোগ করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। গুটিয়ে গেছে ২৩১ রানে।
ফলে ইনিংস ও ১৪৭ রানের জয় নিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৫১০ রানের জবাবে কাল হাসান আলীর আগুনে বোলিংয়ে ১৩২ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ২৭ রানে পাঁচ উইকেট নেন হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে রেগিস চাকাভা (৮০) ও ব্রেন্ডন টেলরের (৪৯) ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিলেও শেষ বিকালে ফের পথ হারিয়ে হারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে স্বাগতিকরা।