বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার মসনদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপালের তত্ত্বাবধানে শপথ গ্রহণ করেন রাজ্যে ৪৩ জন মন্ত্রী। এর আগে রোববার ৪৩ জনের তালিকা রাজভবনে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই অনুযায়ী রাজভবনে শপথ গ্রহণ করেন রাজ্যের ভাবি মন্ত্রী মন্ডল।
এরপর নবান্নে এসে রাজ্যের ভাবি মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বসেন তিনি। নবান্ন হল পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরের একটি সরকারি ভবন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় ও প্রধান প্রশাসনিক দপ্তর মহাকরণ ভবনের সংস্কারের জন্য বর্তমানে এই ভবনটি অস্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সচিবালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।[১] ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর এখানে সচিবালয় চালু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নবান্ন থেকেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রীদের দপ্তর ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যাঁরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, তাঁদের কমিটির মাথায় বসানো হবে। বিধানসভার ডেপুটি চিফ হুইপ হচ্ছেন তাপস রায়।”
সাথে সাথেই রাজ্যের বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হলেন আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করেন ব্রাত্য বসু, অমিত মিত্র এবং রথীন ঘোষ। একদিকে যখন ব্রাত্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন অমিত মিত্র রথীন ঘোষও। সেই কারণেই আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয় তাদের জন্য।
আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা কারা পেলেন কোন কোন দপ্তরঃ
স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক, কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ভূমি- ভূমিসংস্কার ও উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, তথ্য ও সংস্কৃতি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রক নিজের হাতে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রী পদে দায়িত্ব পেলেন ব্রাত্য বসু।
শক্তি, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পরিবহণ ও আবাসনমন্ত্রী হলেন ফিরহাদ হাকিম।
ক্রেতা সুরক্ষা, স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতর সাধন পাণ্ডে।
বন ও অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রী হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী দপ্তর পেলেন মানস ভুঁইয়া।
শিল্প, বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং শিল্প পুনর্গঠন দপ্তর পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
অর্থ, পরিকল্পনা ও সংখ্যতত্ত্ব মন্ত্রী হলেন অমিত মিত্র।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তর পেলেন চন্দ্রনাথ সিনহা।
প্রাণীসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী হলেন স্বপন দেবনাথ।
বিপর্যয় মোকাবিলা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর পেলেন জাভেদ আহমেদ খান।
গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগারমন্ত্রী হলেন শাইখুল হাদীস মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
খাদ্য ও গণবন্টনমন্ত্রী হলেন রথীন ঘোষ।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি।
কৃষি বিপণন দপ্তর পেলেন বিপ্লব মিত্র।
জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী মন্ত্রী হলেন পুলক রায়।
কারামন্ত্রী হলেন উজ্জ্বল বিশ্বাস।
সমবায়মন্ত্রী হলেন অরূপ রায়।
আইনমন্ত্রী হলেন মলয় ঘটক।
সেচ ও জলপথ দপ্তরের দায়িত্বে এলেন সৌমেন কুমার মহাপাত্র।
নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হলেন শশী পাঁজা।
সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী হলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।