নিজস্ব
প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও ২৫ জনের
মৃত্যু হয়েছে; সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ৩৬৩ জনের মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে
মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ৬০১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২২ হাজার ৩৬ জন।
ঈদের
ছুটির প্রথম দুই দিনে নমুনা পরীা এক চতুর্থাংশে নেমে আসায় শনিবার শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ পর্যায়ে।
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীা করে ২৬১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার নমুনা পরীার সংখ্যা কিছুটা বেড়ে ৫ হাজার ৫০৮ হয়েছে, তবে এখনও তা ঈদের ছুটির আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ
পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল
রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল
রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত
কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ২৫ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৩ লাখ
৭০ হাজারের বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা
দেশে ৪৫৯টি ল্যাবে ৫ হাজার ৪৩০টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা
হয়েছে ৫৭ লাখ ৭ হাজার ৭১৬টি নমুনা।
রোববার নমুনা পরীা অনুযায়ী শনাক্তের
হার ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক
৫৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ২৫ হাজার ২২৫টি।
গত
এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৮ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের ২০ জন
সরকারি হাসপাতালে, ৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা যান।
তাদের
মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,
৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের
মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন বরিশাল
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ১৪৯ জনের মধ্যে ৮ হাজার
৭৯৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৩৫২ জন নারী।