গত বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে আলোচনার পর এক মত হয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন। তিন দেশ মিলে পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, ড্রোন এবং কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করবে। যার আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের ব্যবহার করার ক্ষমতা থাকবে। এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ফিউচার কমব্যাট এয়ার সিস্টেম (এফসিএএস)।
এর আগে এই প্রকল্পের মেধাসত্ত্ব ও কাজের বিভাজন নিয়ে তিন দেশ একমত হতে পারছিল না। কিন্তু সেই বিরোধ মিটিয়ে তিন দেশই এখন প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে একমত হয়েছে।
টুইট করে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, একুশ শতকে ইউরোপের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সবচেয়ে জরুরি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেন।
এই প্রকল্পই হবে ইউরোপের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষা প্রকল্প। নতুন যুদ্ধবিমান ফ্রান্সের রাফাল এবং জার্মানি ও স্পেনের ইউরোফাইটারের স্থলাভিষিক্ত হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। মোট খরচ হবে ১০ হাজার কোটি ইউরো।
সোমবার তিনটি দেশই ৩৫০ কোটি ইউরো দেয়ার কথা বলেছে। পুরো প্রকল্পের খরচ তিনভাগে ভাগ হবে এবং প্রতিটি দেশ সমান পরিমাণ অর্থ দেবে।
এই চুক্তি করার জন্য জার্মানি তাড়া দিচ্ছিল। কারণ আগামী সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে নির্বাচন। তার আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিয়ে অর্থ দেয়ার বিষয়টি পাকা করে নিতে চায় সরকার।
টুইট করে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের যুদ্ধবিমান তৈরি করার মাধ্যমে আমরা ইউরোপের ক্ষমতা, শিল্প এবং প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
ফ্রান্সের দ্য সল্ট এবং ইউরোপের বিমান তৈরির সবচেয়ে বড় সংস্থা এয়ারবাস মিলে এই প্রকল্প রূপায়ণ করবে। যুদ্ধবিমানের প্রটোটাইপ তৈরি হয়ে যাবে ২০২৭ সালের শুরুতেই। এতে প্রাথমিকভাবে রাফালের ইঞ্জিন থাকবে। নতুন যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।