নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মাছ ধরার জাল চুরির অপবাদে পাঁচ কিশোরকে বেঁধে প্রকাশ্যে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি চৌকিদার আমির হোসেনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে চরকিং ইউনিয়নের শুল্লকিয়া গ্রাম থেকে চৌকিদার আমির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ শুল্লকিয়া গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার বিকালে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
এক মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর জেলেদের প্রকাশ্যে বেঁধে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করছেন একজন। পাশ থেকে পরিবারের নারী সদস্যরা কান্না করে তাদের ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। কান্নারত নারীরা এগিয়ে এলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে দেখা গেছে।
ওই সালিশবৈঠকে পাঁচ জেলে কিশোরকে আর্থিক জরিমানা ও ১০টি করে বেত্রাঘাত করার রায় দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় চৌকিদার (গ্রামপুলিশ) আমির হোসেন কোমর বাঁধা কিশোরদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন।
পর দিন এ ঘটনায় নির্যাতিত কিশোর শিশুপদ দাসের বাবা হরিপদ দাস বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।