
৪৯ দিন পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালু করা হয়েছে।
দুই সিটে একজন যাত্রী নেওয়ার শর্তে চলবে ট্রেন। কোন সিটে বসতে হবে তা যেন
যাত্রীরা দেখলেই বোঝেন সে কারণে নেওয়া হয়েছে বিশেষ কৌশল। দুই সিটের একটিতে
পরানো হয়েছে সিটকাভার। অন্যটা খালি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ
যাত্রীরা। এখন যাত্রীরা নিজেরা সতর্ক হয়ে সেটা মানলেই হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে,
সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা সহযোগিতা করলে
করোনাভাইরাস মোকাবিলা সম্ভব হবে।সকালে নগরীর
কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রী
কম, তবে কুলিদের ব্যাপারে আরেকটু সতর্কতা দরকার বলে জানালেন স্টেশনের ৭
নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলীর এক যাত্রী। তিনি
বলেন, ‘কুলিরা যদি গ্লাভস পরে, বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তাহলে
বেশি নিরাপদ। তাছাড়া অনেকে মাস্ক ঠিকমতো পরছেন না। তবে ট্রেনের ভেতরের
পরিবেশ নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট। যাত্রীরা পাশাপাশি আসন ফাঁকা রেখে বসেছেন।
কোনটাতে বসতে হবে তা কাভার দেখেই বুঝতে পারছেন।’কমলাপুর
স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে
অর্ধেক যাত্রী নিয়ে রেল চলছে, ট্রেন স্যানিটাইজ করা হয়েছে। যাত্রীদের
জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ছেড়ে গেছে।
সবগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।’