
আশুলিয়ায় নিউ মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক চুরি যাওয়ার চার দিন পর সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালটির মালিক ও চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৪ মে) সকালে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে ছয় দিন বয়সী চুরি যাওয়া নবজাতককে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, আশুলিয়ার নিউ মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডা. মোস্তফা কামাল ও আবু হানিফ এবং মার্কেটিং অফিসার হানিফ বিন কুতুব ও সুমন মিয়া। এ ছাড়া নবজাতক ক্রেতা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার নতুন দাতপুর গ্রামের অয়জুল হক।
মামলার সূত্র জানায়, গত ১৭ মে রাতে শিখা খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য নরসিংহপুর এলাকার নিউ মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে তার স্বামী। পরদিন ১৮ মে ভোরে স্বাভাবিকভাবে ওই নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ওই দিন রাতেই হাসপাতালের মালিক ডা. মোস্তফা ও আবু হানিফসহ কর্তৃপক্ষ শিখা খাতুন ও তার স্বামীকে কন্যা সন্তান অসুস্থ ও ত্রুটিপূর্ণভাবে জন্ম নিয়েছে বলে জানায়। এমনকি দুই-তিন দিনের মধ্যে মারা যাবে জানিয়ে নবজাতককে তার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যায়। পরে সন্তানকে ফিরে চাইলে নানান তালাবাহানা করতে থাকেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে কৌশলে সন্তানকে চুরি করে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সিরাজগঞ্জ থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনকে আটকের পর তারা নবজাতককে বিক্রির কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার নতুন দাতপুর এলাকা থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় অয়জুল হক নামের ব্যক্তির কাছেই নবজাতককে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় অয়জুল হক ও হাসপাতালের মালিকসহ গ্রেফতার পাঁচজনকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, ‘এ ধরণের কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’