
সোনার মূর্তি বিক্রির কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। তাদের কাছ থেকে একটি পিতলের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। প্রতারক চক্রটি পিতলের মূর্তিটিকে স্বপ্নে পাওয়া সোনার মূর্তি দাবি করে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল।
সোমবার দুপুরে আরপিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের সেন্ট্রাল রোডস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মলেনে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) কাজী মুত্তাকি।
তিনি বলেন, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার দেউতি গিলাপাড়া এলাকার আলু ব্যবসায়ী মাসুদ রানার কাছে স্বপ্নে পাওয়া একটি সোনার মূর্তি বিক্রির কথা বলে অভিনব কায়দায় দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় মাসুদ রানা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। পরে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য রংপুর নগরীর কামালকাছনা এলাকার আবু সাঈদের ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চর বেরুবারি এলাকার রহমত আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় নগরীর মাহিগঞ্জের আমতলা মোড় এলাকায় বগুড়া থেকে মনসুর ফকির আসেন। তিনি স্বপ্নে পাওয়া মূর্তিটি মাসুদ রানাকে দেখানোর সময়ে কৌশলে মূর্তির এক টুকরো অংশ ভেঙে দেন হাতে। সেটি সোনার মূর্তি কিনা তা পরীক্ষা করতে বলেন। এরপর মাসুদ রানা সোনার দোকান নিয়ে গিয়ে ওই অংশটি পরীক্ষা করে মূর্তিটি সোনার বলে নিশ্চিত হয়ে সেটি কেনার জন্য মনসুর ফকিরকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু মনসুর ফকির টাকা নিয়ে মূর্তিটি না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মাসুদ রানা আরপিএমপি’র মাহিগঞ্জ থানায় মামলা করলে গত ২২ মে রাতে গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে রুবেল মিয়া ও মিরাজুল ইসলামকে মূর্তিসহ গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) ফারুক আহমেদ, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ, পুলিশ পরিদর্শক ছালেহ আহাম্মদ পাঠান ও এসআই বাবুল ইসলাম প্রমুখ।