করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে পর্যদুস্ত ভারতে ১৪ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখের নিচে নেমেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে এক লাখ ৯৬ হাজার ৪২৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে আর একই সময় আরও ৩৫১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে ভারতে সরকারি হিসাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৮৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে দেশটি।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতে মোট মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ সাত হাজার ২৩১ জনের। মাত্র একদিন আগে তিন লাখ মৃত্যুর দুঃখজনক মাইলফলক অতিক্রম করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটি।
এর আগের দিন সোমবার ভারতের সবচেয়ে মহামারী আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্রে ২২ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয় আর ৫৯২ জনের মৃত্যু হয়। এতে রাজ্যটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে যায় আর মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৯ হাজার ২১২ জনে।
মহারাষ্ট্রের পর দেশটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাডু ও উত্তর প্রদেশ।
ভারতে উৎপাদিত টিকার সংকটের কারণে দেশটির অনেক রাজ্য টিকাদান কর্মসূচী নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি ও পাঞ্জাব সরবাহের জন্য টিকা প্রস্তুতকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও মার্ডানার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল, কিন্তু তারা অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
উভয় কোম্পানিই সরকারি নীতির কথা জানিয়ে তারা শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লেনদেন করবে বলে জানিয়েছে।
ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো ‘কালো ছত্রাক’সংক্রমণের পাশাপাশি ‘সাদা ছত্রাক’ ও ‘হলুদ ছত্রাক’ এর সংক্রমণও শনাক্ত হয়েছে বলে কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।