Published : Thursday, 3 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.06.2021 1:36:31 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের শুরুতে কুমিল্লা-৫
আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর
মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় বক্তব্য
রাখতে গিয়ে শোকাহত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইনডেমনিটি
অধ্যাদেশ বাতিল প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় মতিন খসরুর আবেগভরা বক্তৃতা এখনো
আমার কানে বাজে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। শোক প্রস্তাবের উপর
আলোচনায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের
প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি, সাবেকল রেলপথ মন্ত্রী ও
চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিবসহ অন্যান্য সংসদ
সদস্যগণ।
আলোচনায় আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা
বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার
পর ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর
হত্যাকারীদের বিচারের হাত থেকে রেহায় দিয়ে বিভিন্ন দুদাবাসকে পুরস্কৃত করা
হয়েছিলো। রুদ্ধ করা হয়েছিলো বিচার পাওযার পথ। আমি আর আমার ছোটবোন বেঁচে
থাকলেও বিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের ছিলো না। যেটা আমাদের সংবিধানিক অধিকার।
১৯৯৬ সালে সরকার সঠন করার পর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আমরা করি, আর সেই
বিল উত্থাপন করেছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু সেই আবেগঘন
বক্তৃতা এখনও আমার কানে বাজে। আমি তাকে প্রথমে প্রতিমন্ত্রী, পরে
আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে ছিলোম। আওয়ামী নিবেদিত প্রাণ খসরুকে সবশেষ
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য করি এবং সুপ্রিম কোর্ট আইজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি
পদে মনোনয়ন দিয়েছি। নির্বাচিত হয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর
আমি প্রতিদিন আমার তার স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো
মতিন খসরুকে আর বাঁচানো গেলো না। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। এছাড়া
তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।