তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে সফটওয়্যারে সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। হার্ডওয়্যার তৈরিতেও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এ বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তিনি একইসঙ্গে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্লাউড সেবা, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং, ই-বুক প্রকাশ, অ্যাপস তৈরিসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় তরুণ উদ্যোক্তাদের যে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
শুক্রবার (৪ জুন) রাতে বাজেটপরবর্তী পরিস্থিতিতে তারুণ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি খাতের ভূমিকা শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটি এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জীবন ও জীবিকার বাজেট উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে আইসিটি বিভাগ ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে।’
পলক বলেন, ‘দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের অধীন “স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেড” গঠন করা হয়েছে। এটি সরকারি ভেঞ্চার কোম্পানি। ইতোমধ্যেই এই কোম্পানির মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য শতবর্ষে শত আশা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিগগিরই পূর্বাচলে একটি ভিশন ২০২১ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। সেখানে রিসার্চ, ইনোভেশন, বিজনেস অ্যান্ড ডিজিটাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষক, রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সভাপতি অধ্যাপক হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, বুয়েটের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মুনাজ আহমেদ নূর, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ।