চীনের টিকা কেনার বিষয়ে ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে তো নয়ই, এমনকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গেও কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান এ কথা বলেছেন।
শনিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে বলেন, চীন সরকারের সঙ্গে তো নয়ই, সিনোফার্মের সঙ্গেই এখনো টিকা কেনার বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কেন শুধু মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে! এটা বলা বাহুল্য প্রথমত, এখন পর্যন্ত সিনোফার্মের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি হয়নি। দ্বিতীয়ত, এটি চীনা সরকার নয়, বরং এটি সিনোফার্ম এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক চুক্তি। আর আমরা আশা করি যে, আমাদের বাংলাদেশি ভাইবোনেরা আগের (নির্ধারিত) তারিখে প্রয়োজনীয় টিকা পাবেন।
করোনা সংকট মোকাবিলায় চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের সঙ্গে টিকা আনার আলোচনা শুরু হয় বেশ কয়েক মাস আগে। বাংলাদেশ-চীনের টিকা কূটনীতির প্রক্রিয়ার মাঝেই বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং দাবি করেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে না পারা ও সময়ক্ষেপণের কারণে টিকা কিনতে দেরি হয়েছে বাংলাদেশের।
এরপরে টিকা নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আলোচনায় আসে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তি। যার জন্য চীনা ভাষায় লেখার জায়গায় সই করে ফেলা এক ধরনের চাহিদাপত্র দিয়ে পরে তা কমানোসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক নানা দুর্বলতার কথাও উঠে আসে জনসম্মুখে।
অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানিয়ে দেন ডোজপ্রতি ১০ মার্কিন ডলারে বাংলাদেশকে দেড় কোটি করোনা টিকা দেওয়ার চুক্তি করেছে চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ-সিনোফার্ম। এতে চীনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় ক্ষোভ। এ জন্য চীনের কাছে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সবশেষ বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে জানান, সিনোফার্মের সঙ্গেই এখনো টিকা কেনার কোনো চুক্তি হয়নি বাংলাদেশের। তবে ১৩ জুনের মধ্যে বাংলাদেশে চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলেও জানান তিনি।