রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে চার দিন পর মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে, গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ১০ জনের। চলমান পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে তাদের হাসপাতালে সাতজন পুরুষ ও তিনজন নারী মারা গেছেন।
তাদের সাতজন রাজশাহীর আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর রয়েছেন একজন করে। তাদের মধ্যে তিনজনের পজেটিভ ছিল। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে।
পরিচালক বলেন, গত ১৩ ও ১৬ জুন ১৩ জন করে এবং ১৪ ও ১৫ জুন ১২ জন করে মারা গেছেন তাদের কোভিড ইউনিটে। চলতি মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ৪ জুন, ১৬ জন। আর সবচেয়ে কম ১২ জুন, চারজন।
এ নিয়ে চলতি মাসে ১৭১ জন মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ৯৬ জনের পজিটিভ ছিল। অন্যরা মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় হাসপাতালের ২০টি আইসিইউসহ ৩০৯ বেডের বিপরীতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩৫৮ জন। তাদের মধ্যে রাজশাহীর ১৯৯ জন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৮ জন। তাছাড়া নাটোর ও নওগাঁর ছিলেন ২৪ জন করে।
চিকিৎসাধীন ৩৫৮ জনের মধ্যে পজিটিভ ১৬৪ জনের। অন্যদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন উপসর্গ রয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ৪৪ রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ২৬ জন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রয়েছেন সাতজন। অন্যরা অন্যান্য জেলার।
একই সময় ৩১ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন বলে তিনি জানান।
পরিচালক বলেন, একই সময়ে রাজশাহীতে শনাক্তের হার আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ-পয়েন্ট কমে ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ হয়েছে।
গত ১১ জুন থেকে এক সপ্তাহের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়, যা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বুধবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তা বৈঠক করে লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত করেন।