ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী সাঈদ জালিলি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে নির্বাচনের দু’দিন আগে সাত প্রার্থীর তিন জনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেন।
বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের জনগণের উদ্দেশ লেখা এক বিবৃতিতে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাঈদ জালিলি।
তিনি বলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করায় আমি তার সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আশা করছি বিপ্লব ও ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে সমর্থনকারী দেশের প্রতিটি জনগণ রায়িসিকে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।
এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন অপর দুই প্রার্থী মোহসেন মেহের আলীজাদে ও আলীরেজা যাকানি।
বুধবার সকালে মেহের আলীজাদে অপর সংস্কারপন্থী প্রার্থী আব্দুন নাসের হেম্মাতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এরপর রক্ষণশীল প্রার্থী আলীরেজা যাকানি অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম রায়িসির সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।
আগামী ১৮ জুন শুক্রবার ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটি দেশটির ১৩ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
এ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন সাত জন। তিন জন সরে দাঁড়ানোয় এখন প্রার্থী থাকল চারজন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যারা জনগণকে ভোটদানে বিরত থাকার আহ্বান জানায়, তারা দেশের কল্যাণ চান না।
তিনি জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, যারা বলে বেড়ায় ভোট দিয়ে লাভ নেই, তাদের কথা শুনবেন না।
সাম্প্রতিক দুটি জরিপ বলছে— এবার ভোট দেওয়ার হার হবে খুবই কম। এর মধ্যে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিংয়ের জরিপ বলছে— ভোটার উপস্থিতি হতে পারে ৫০ শতাংশেরও কম।
আর হার্ডলাইনার হিসেবে পরিচিত ফার্স নিউজ এজেন্সির জরিপে বলা হয়েছে— ৫৩ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এ নির্বাচনে।