প্রায় আড়াই মাস পর স্বাভাবিক হলো সচিবালয়ের কার্যক্রম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ চলছে দেশে। সেই থেকে জরুরি সেবা দেয়া দফতরসহ সচিবালয় চলছিল সীমিত পরিসরে। বিধিনিষেধ এক মাস বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
তাই বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে সরকারি অফিস। সকাল থেকে সচিবালয়ের বিভিন্ন দফতর ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো সব কর্মকর্তাই অফিস করছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের করিডোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণায় মুখর।
এতদিন অনেক মন্ত্রণালয়েরই বিভিন্ন কক্ষ বন্ধ ছিল, পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করতেন কর্মকর্তারা। দিনের বেলায়ও কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের করিডোর অন্ধকারে ডুবে থাকত। এখন সেখানে আগের মতো কর্মচাঞ্চল্য। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানায় ছিল শিথিলতা। কর্মকর্তারা মাস্ক পরলেও মন্ত্রণালয়গুলোর প্রবেশমুখে কোনো জীবাণুনাশক ছিল না।
দর্শনার্থী প্রবেশে পাস ইস্যু বন্ধ থাকলেও এক ও দুই নম্বর গেটের মধ্যবর্তী দর্শনার্থী অভ্যর্থনা কক্ষটিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পুলিশ মাঝে মাঝেই এখানে দাঁড়িয়ে না থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে বুধবার (১৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে।
এতদিন জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশনা ছিল। যদিও সীমিত পরিসরে চলছিল অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে সেবা দিচ্ছিল ব্যাংকগুলোও।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়। সেই শিথিল লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর। সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছিল অফিস।