আলমগীর হোসেন,দাউদকান্দি।।
কুমিল্লার
দাউদকান্দি উপজেলার গোমতী নদীতে বালু বোঝাই ভলগেট থেকে প্রতিটি ৩০০ থেকে
৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করা চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিণত
হয়েছে।
এই নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চাঁদাবাজদের ভয়কংর
সাম্রাজ্য গড়ে ওঠেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়কড়ি নজরদারি ফাঁকি দিয়ে চলছে
চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য। এ নিয়ে পূর্বে অনেক চাঁদাবাজদের হাতেনাতে ধরে
জেলহাজতেও পাঠিয়েছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও দাউদকান্দি মডেল থানা
পুলিশের যৌথ অভিযানে।
অভিাযোগ রয়েছে চাঁদাবাজির টাকা কম দিলে বা না দিলে জাহাজের স্টাফদের উপর চলে অত্যাচারের স্ট্রীম রোলার।
চাঁদাবাজি
বন্ধের দাবিতে রোববার দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলা ও গজারিয়া উপজেলা ভলগেট
জাহাজ মালিক সমিতি সংগঠনের নেতা ও সদস্যরা গোমতী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায়
প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে।
অবস্থান ধর্মঘটে এসে
একাত্মতা প্রকাশ করেন দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.)
মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে জাহাজ মালিক সমিতির
ধর্মঘট যুক্তিক, আমি এই গোমতি নদীতে নৌ পুলিশ টহলের প্রস্তাব করছি সরকার
এ-বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
জাহাজের গেসুউদ্দিন গেসু
মিয়া নামের এক শ্রমিক জানান," আমরা বালু বোঝাই জাহাজ নিয়ে গৌরীপুর এর
জিয়ারকান্দি ও চারপাড়া নামক এলাকায় পৌঁছলে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের থেকে
জোরপূর্বক ২ শ' থেকে শুরু করে ৫ শ' টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়। আর চাঁদা দিতে
অপারগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসীরা আমাদের মারধর করে সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মালিক
সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান টিপু জানান, আমরা এই নৌরুটে প্রতিদিন ৪০ / ৫০
টি জাহাজ বালু বোঝাই করে পরিচালিত করে থাকি। জাহাজ থেকে প্রতিদিন জোরপূর্বক
চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জোরদাবি জানাচ্ছি
এসব চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য।
এসময়
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান টিপু,সাধারণ সম্পাদক শাহাদত
হোসেন,সহ-সভাপতি নাজমুল সরকার, কবির খন্দকার, কার্যকরী সদস্য মনির
হোসেন,হেলাল উদ্দিন,গজারিয়া জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব হোসেন
মোল্লা,সহ-সভাপতি মো.দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক মুন্সী প্রমুখ।