ঢিলেঢালা সবুজাভ রঙের গাউন পরে থাকা এক নারীর অবয়ব। সাত মহাদেশ ও সাত সাগরের প্রতীক হিসেবে মাথায় সূঁচালো কাঁটাওয়ালা মুকুট। বাঁ-হাতে একটি বই। এতে রোমান সংখ্যায় খোদাই করে লেখা আমেরিকার স্বাধীনতার দিনক্ষণ— ৪ জুলাই, ১৭৭৬ সাল। ডান হাতে উঁচিয়ে ধরা একটি মশাল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সবচেয়ে বড় নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম এই ভাস্কর্যের নাম ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। আমেরিকার স্বাধীনতা অর্জনের শতবর্ষ পূর্তিতে এটি উপহার হিসেবে পাঠায় ফ্রান্স। এবার দেশটিকে আরও একটি স্ট্যাচু অব লিবার্টি পাঠাতে যাচ্ছে প্যারিস। একে আখ্যায়িত করা হচ্ছে মূল স্ট্যাচু অব লিবার্টি-র ছোট বোন হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করার উদ্দেশে প্যারিসের একটি যাদুঘরের মাধ্যমে ভাস্কর্যটি যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। এটি হবে মূলত আসল মূর্তিটির অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের একটি রেপ্লিকা। এটি প্রথমে এলিস দ্বীপে প্রদর্শিত হবে, সেখান থেকে চলে যাবে ওয়াশিংটন ডিসিতে চলে যাবে, যেখানে এটি ১০ বছর থাকবে।
দ্বিতীয় এই স্ট্যাচু অব লিবার্টি এখন প্যারিস থেকে নিউইয়র্ক সিটির পথে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ৪ জুলাইয়ের স্বাধীনতা দিবসের আগেই এটি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবে।
তামার তৈরি মূল ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৯২ দশমিক ৯৯ মিটার। তবে নতুন রেপ্লিকাটির উচ্চতা হবে ২ দশমিক ৮৩ মিটার। দুই সপ্তাহ আগে এটিকে বেশ যত্ন করে জাহাজযোগে প্যারিস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাঠানো হয়। পরিবহনের সময় যেন কোনওভাবেই মূল কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। সুরক্ষার জন্য প্লাস্টিক ফিল্ম ও ফোম দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে এটি। সূত্র: রয়টার্স হিন্দুস্তান টাইমস।