প্রথম পর্বের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের ওপেনার মিজানুর রহমান। এবার রেলিগেশন লিগের প্রথম ম্যাচেই তার পাশে বসলেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের ওপেনার হাসানুজ্জামান।
ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দিয়েছেন হাসানুজ্জামান। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।
গত বছরের শেষদিকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশাল দলের হয়ে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তিনি ভেঙেছিলেন তামিম ইকবালের করা ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডকে। ২০১৯ সালের বিপিএল ফাইনালে ৬১ বলে ১৪১* রান করার পথে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
আর এবার এ তালিকায় তামিমকে তিন নম্বরে পাঠিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হলে ৩০ বছর বয়সী হাসানুজ্জামান। ডিওএইচএসের করা ১৯৯ রানের জবাবে মাত্র ২৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ের মারে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূরণ করেছিলেন তিনি। সেটিকেই রূপ দিলেন প্রথম সেঞ্চুরিতে।
দ্বিতীয় পঞ্চাশ অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছতে হাসানুজ্জামান খেলেছেন ২৩ বল। যেখানে ছিল ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছয়ের মার। একপর্যায়ে ৩৯ বলে ৮৯ রানে খেলছিলেন হাসানুজ্জামান। কিন্তু পরের ১১ রান করতে খেলেন আরও ৯টি বল। ফলে ইমনের করা ৪২ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা হয়নি তার।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আব্দুল রশিদের বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টায় থামে তার ৫২ বলে ১০৫ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ১১ চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন যশোরের এই ব্যাটসম্যান।
হাসানুজ্জামানের আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেঞ্চুরি করেছেন শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ ও মিজানুর রহমান।
এদের মধ্যে একের বেশি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিম করেছেন তিন সেঞ্চুরি। যেখানে একটি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, অন্য দুইটি ঘরোয়া ক্রিকেটে। নাজমুল শান্তর দুই সেঞ্চুরিই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে।