মিউনিখে নিজেদের মাঠে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল জার্মানি। ওদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। হারানোর কিছু ছিল না। পর্তুগালের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে জার্মানির জয়টা তুলতেই হবে। নেমেই গোল হজম করেছিল জার্মানি। এমন ম্যাচে গোল পেলে জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে যাবে। পর্তুগাল এগিয়ে ছিল অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে। যদিও সেই গোলের পুরো কৃতিত্ব ছিল বার্নাডো সিলভার। তিনি বলটা বানিয়ে দিয়েছিলেন।
এদের টিম ওয়ার্কটা ভেঙে যায় আত্মঘাতী গোলে। একটা নয়, দুইটা আত্মঘাতী গোল পর্তুগালকে হতাশায় ডুবিয়েছে। গোজেনসের বাড়ানো বল হাভার্টজ জালে জড়ানোর আগে রুবেন ডিয়াজের পায়ে লেগে জালে জড়ায় (১-১)। মিনিট চারেক পরেই আবার আত্মঘাতী গোল হজম করে ফার্নান্দো স্যান্টোসের দল।
রোনালদো জ্বলে উঠলেন, তবু পারলেন না
ডান প্রান্ত থেকে কিমিচকে আটকাতে গিয়ে গুইরেরো নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে দেন। এই যদি হয় ম্যাচের ভাগ্য তাহলে বাকি কাজটা সারতে আর কিই বা লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে কাই হাভার্ট ব্যবধান ৩-১ করেন। ৯ মিনিট পর রবিন গোসেন ৪-১ করেন। শেষভাগে রোনালদোর পাস থেকে জোতার গোলে ব্যবধান কমে পর্তুগালের ২-৪।
রোনালদো ম্যাচের প্রথম গোল করেছেন। সেই গোল নিয়েই বিশ্ব ফুটবলে আলোচনা। দলের প্রয়োজনে রক্ষণে নেমে জার্মানির ঝড় সামাল দিচ্ছিলেন। সেখান থেকে উঠে গিয়ে গোল করেছেন। মাঝ মাঠ হতে ৯৭ মিটার দৌড়ে যান সিআরসেভেন। যার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার। এতো দ্রুতগতিতে দৌড়ে গিয়ে ঠান্ডামস্তিষ্কে গোল করা কঠিন।
কঠিন কতটা তার প্রমাণ দেখা গেছে রাতে স্পেন পোল্যান্ড ম্যাচে। স্পেনের পেনাল্টি ফিরে আসার পরও সামনে দাঁড়িয়ে ফাঁকা পোস্টে গোল করতে পারেননি আলভেরো মোরেনো, বাইরে মেরেছেন। আর জার্মানির বিপক্ষে রোনালদো ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ে গিয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় গোল করলেন। মাথা ঠান্ডা রেখে জার্মানির গোলকিপার ন্যুয়েরের বুকে পেরেক ঠুকছেন। ইউরোর পাঁচটি আসরে ১২ গোল করলেন রোনালদো।