বার্সেলোনার ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা জানিয়েছেন, মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের দ্বারপ্রান্তে তারা। লা লিগার সভাপতি হাভিয়ের তেভাস সতর্ক করে দিয়েছেন, নিজেদের খরচ না কমালে মেসিকে ধরে রাখতে পারবে না কাতালান ক্লাবটি। আর এ বিষয়ে মূল যে চরিত্র, সেই লিওনেল মেসি এখনও পর্যন্ত নিশ্চুপ।
চলতি মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ তারিখ পর্যন্ত রয়েছে বার্সেলোনার বর্তমান চুক্তি। এরপর ১ জুলাই থেকে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন মেসি। যার অর্থ যেকোনো ক্লাব সমঝোতার ভিত্তিতে ফ্রি-তেই দলে ভেড়াতে পারবে আর্জেন্টাইন খুদেরাজকে। তাই এ ছয়দিনের মধ্যেই মেসির বিষয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিতে হবে বার্সেলোনাকে।
যদিও এরই মধ্যে নানান সংবাদমাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বার্সেলোনার দেয়া চুক্তির প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন মেসি। এমনকি নতুন চুক্তিতে বর্তমান বেতনের অর্ধেক নিয়েই খেলতে রাজি দলের বর্তমান অধিনায়ক। কিন্তু স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানাচ্ছে ভিন্ন খবর।
ফুটবলভিত্তিক এ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে মেসির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। শুধু তাই নয়, আসলে বার্সেলোনার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবই পাননি তিনি।
মেসির চুক্তি শেষ হওয়ার কাউন্টডাউন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে বার্সেলোনা ঠিকই আশাবাদী যে, অন্যান্য ক্লাবের পক্ষ থেকে নানান প্রস্তাব থাকলেও, ক্যাম্প ন্যুতে নিজের যাত্রা আরও দীর্ঘায়িত করবেন মেসি। এ কারণেই তারা আশায় আছে যে, এরই মধ্যে বার্সায় থাকার ব্যাপারে মনঃস্থির করে ফেলেছেন এ তারকা ফুটবলার।
ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা বরাবরের মতোই আশাবাদি যে, আগামী ৩০ জুনের আগেই বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সাক্ষর করে ফেলবেন মেসি। তবে মার্কা তাদের প্রতিবেদনে বলছে, এটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা মেসির ঘনিষ্ঠজনের মতে, দুইপক্ষের মধ্যে কথাবার্তার উন্নতি নেই বললেই চলে।
বার্সেলোনার পক্ষ থেকে মেসির জন্য প্রস্তাবিত বর্তমান চুক্তিটি হলো, দুই বছরের জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো বার্ষিক বেতনে ক্লাবে থাকবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। যা কি না তার বর্তমান বেতনের প্রায় অর্ধেক। পাশাপাশি আগামী দশ বছর বার্সেলোনা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে থাকবেন তিনি। যেখানে তার আয় হবে ১০ মিলিয়ন ইউরো।
কিন্তু এ বিষয়ে মেসি বা তার এজেন্টের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য মেলেনি। আগামী ছয়দিনের মধ্যে চুক্তি নবায়নের কাজ চূড়ান্ত না হলে ঝামেলায়ই পড়তে হতে পারে বার্সেলোনাকে। তাই একদম শেষ সময়ে গিয়ে হলেও মেসিকে দলে ভেড়ানোর কাজ শেষ করতে চায় ক্লাবটি।