করোনাভাইরাস, ভেন্যু ও স্পন্সর- এই তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে এ বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের ভাগ্য। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল প্রতিযোগিতার এবারের আসরটি হওয়ার কথা ছিল গত বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে পিছিয়ে দেয়া হয় এক বছর। আগামী ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের তারিখ নির্ধারণ থাকলেও, ঐ সময়ে তা হচ্ছে না। তবে কি পিছিয়ে যাচ্ছে টুর্নামেন্ট? না, যদি এ বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতো এগিয়ে আনা হবে সূচি।
কারণ, বর্তমান তারিখ রয়েছে ফিফা উইন্ডোর বাইরে। সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) ও বাফুফে চাইছে ফিফা উইন্ডোর মধ্যে টুর্নামেন্ট নিয়ে আসতে। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডো। ঐ সময়ই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সাফ।
এ বিষয়ে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘এখন ফিফা উইন্ডোর বাইরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে কোনো দেশের পক্ষেই জাতীয় দল গঠন সহজ হবে না। কারণ, ক্লাবগুলো খেলোয়াড় ছাড়তে চাইবে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ফিফা উইন্ডোর মধ্যে টুর্নামেন্ট হলে নিয়মকানুনের মধ্যে থেকে ক্লাবগুলো নির্ধারিত সময়ে খেলোয়াড় ছাড়তে বাধ্য। ফিফা উইন্ডোতে টুর্নামেন্ট না করলে ভারতের জন্য দল গঠন কঠিন হবে। তাই যদি সেপ্টেম্বরে টুর্নামেন্ট হয় তাহলে এগিয়ে এনে ফিফা উইন্ডোর মধ্যেই আয়োজন করা হবে।’
তবে এখন পর্যন্ত সাফ আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। কারণ তিনটি; এক. করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, দুই. ভেন্যু সংকট ও তিন. স্পন্সরের অনিশ্চয়তা। আনোয়ারুল হক হেলাল বলেছেন, ‘ঐ সময় টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম পাওয়া যাবে না। বিকল্প আছে চট্টগ্রাম। তাছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠানও এখন পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত দেয়নি।’
‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর নামে। এখন পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান আগের মতো আগ্রহ দেখাবে কি না বুঝতে পারছি না। করোনা পরিস্থিতি এখনও খারাপের দিকে। তাই সবকিছু মিলিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তবে টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার বিষয়ে অন্যান্য দেশের আগ্রহ আছে বলে জানালেন আনোয়ারুল হক হেলাল, ‘কয়েকটি দেশ আমার কাছে জানতে চেয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের অগ্রগতি নিয়ে। আমি জুনের মধ্যে জানাবো বলে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছি।