চাঁদপুর শহরে নিজ ঘরে এক ব্যবসায়ীকে খুন করেছে অজ্ঞাত হামলাকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ট্রাকরোড এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত রেহান উদ্দিন মিজি (৫৫) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া গ্রামের প্রয়াত আবদুর রব মিজির ছেলে।
পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মরিয়ম আক্তার বলেন, “রেহান উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আক্তার দুইদিন আগে বাড়ি গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তার স্বামীকে ফোনে না পেয়ে আমাকে ফোন করে তিনি বাসায় আছে কিনা খোঁজ নিয়ে বলেন। তার খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি তাদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। পরে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখি রেহান উদ্দিনের মরদেহ বিছানায় চাদর দিয়ে ঢাকা।”
এরপর তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষজন উপস্থিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ির মালিককে জানানো হয়।
তাদের মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই থাকতেন বলে মরিয়ম জানান।
বাসার মালিক তাফাজ্জল হোসেন তাফু পাটোয়ারী জানান, দুপুরে ২টার দিকে হঠাৎ করে খবর আসে বাসার ভেতর রেহান উদ্দিনের লাশ পড়ে আছে।
তিনি জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তারা বাসা ভাড়া নেয়। তাদের একমাত্র ছেলে বিদেশে থাকেন। বাকি তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা দুইজনই বাসায় থাকতেন।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহের সুরতাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি; এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
মডেল থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পিবিআই পরিদর্শক মীর মাহবুব বলেন, মরদেহের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বুধবার যে কোনো সময় তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রেহান উদ্দিন মিজি বালি কাটার ড্রেজারের ব্যবসায় করতেন। গত দুই বছর ধরে শহরের ট্রাংকরোড এলাকায় তামান্না শারমিন ভিলার তৃতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া থাকতেন রেহান উদ্দিন মিজি। তার চার সন্তানের মধ্যে তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। একমাত্র ছেলে ওমান প্রবাসী।