কয়েক দিন
ধরে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বাড়ছে। দেশে জাতীয় হিসেবে দৈনিক
শনাক্ত আবার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে উঠে গেছে ২০.২৭ শতাংশে। অন্যদিকে গত বুধবার
দেশে মারা যাওয়া ৮৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ জনই খুলনা বিভাগের। এর পরই ১৮
জন রাজশাহীর এবং ১৯ জন ঢাকা বিভাগের। শনাক্ত হিসেবে গত বুধবার সর্বোচ্চ ৯০
শতাংশ ছিল চুয়াডাঙ্গায়। অন্যদিকে আগের তুলনায় ঢাকায়ও শনাক্তের হার বেড়েছে।
সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কভিডের বিস্তারের মধ্যে করোনাভাইরাস
শনাক্তের হার ফের বাড়তে বাড়তে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ
হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়ে গেছে। শয্যার
অভাবে অনেক রোগীকেই সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালের কভিড ইউনিটে আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে রেকর্ড ১৮ জনের
মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিদিন পজিটিভ রোগীর সংখ্যার সঙ্গে মৃত্যুও আশঙ্কাজনক
হারে বাড়ছে। এ কারণেই ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। চলাচলেও
জনসাধারণকে বিধি-নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে এবং আইন-শৃঙ্খলা
রা বাহিনীকে কঠোর হতে আহ্বান জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প থেকে।
যদিও কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাাৎকারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, সব দিক
ভেবে লকডাউন দেওয়া যায় না।
আসলে আমাদের এখন সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে
সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা। এ জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি
মানতে হবে। লকডাউন ও আরোপিত বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংক্রমণের গতি কমানোর জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে, সঠিকভাবে মাস্ক পরাসহ
জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। এর অন্যথা হলে আমাদের ভয়ংকর
পরিণতির জন্য অপো করতে হবে। লকডাউন ও বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলা গেলে
সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। এ জন্য শুধু আইন-শৃঙ্খলা রা
বাহিনী কঠোর হলেই হবে না, জনগণকেও পুরোপুরি সহযোগিতা করতে হবে। এটা ঠিক যে
লকডাউন ও বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে মানুষের সাময়িক ভোগান্তি হচ্ছে। কিন্তু
সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর বিকল্প আর কী হতে পারে। আমাদের
হাসপাতালগুলোর আরো প্রস্তুতি দরকার। সেই সঙ্গে টিকার ব্যাপারে সরকারকে আরো
সক্রিয় হতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে।