নজরদারি এড়িয়ে বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে একদিন আগেই। এবার রাতের অন্ধকারে জম্মুর সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ল পর পর দুটি ড্রোন।
মারাত্মক কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই বিষয়টি নজরে পড়ে সেনাসদস্যদের। ড্রোন দুটিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুলি চালান তারা। তবে ড্রোন দুটির নাগাল মেলেনি। সেনাবাহিনীর গুলিবৃষ্টি শুরু হতেই সেগুলো অন্ধকারে মিলিয়ে যায়। ড্রোন দুটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, জম্মু-পাঠানকোট জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কালুচক পুরমণ্ডল রোডের সেনাঘাঁটিতে রোববার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রথন ড্রোনটিকে সেনাঘাঁটির উপরে চক্কর কাটতে দেখা যায়। সেদিকে নজর পড়তেই টহলরত সেনাসদস্যরা সতর্ক হয়ে যান। ড্রোনটিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুলি চালান। তাতেই অন্ধকারে মিশে যায় ড্রোনটি।
এর পর রাত দেড়টা নাগাদ ফের একটি ড্রোন সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে। তখনও গুলি করে সেটিকে তাড়ানো হয়।
সেনা সূত্রে জানা গেছে, ড্রোন দুটিকে লক্ষ্য করে ২০ থেকে ২৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত দুটি ড্রোনের একটিরও খোঁজ মেলেনি। সেনাঘাঁটি এলাকা এবং তার আশেপাশে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
এর আগে, শনিবার গভীর রাতে জম্মু বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় দুটি বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন। তাতে দুজন বিমানবাহিনী কর্মী আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রযুক্তি বিভাগ সংলগ্ন একটি ভবন।
কে বা কারা ড্রোন দুটি পাঠিয়েছিল, এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে তা জানা যায়নি। তবে এ ঘটনায় পাকিস্তানের সংযোগ দেখছেন তদন্তকারীরা। কারণ এর আগে, একাধিক বার সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে উপত্যকায় অস্ত্রশস্ত্র ঢোকার ঘটনা ঘটেছে।