প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পরিচয় দিয়ে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন করে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ দাবি, অনৈতিক সুবিধা আদায় করে আসছিলো একটি প্রতারক চক্র। এ ছাড়া এই চক্রটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ব্যক্তিগত সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার নাম ব্যবহার করেও বিভিন্ন ব্যক্তির জন্য চাকরি ও বদলির তদবির করতো।
এমন একটি প্রতারক চক্রের গিয়াসউদ্দিন কবিরকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সলেশন ক্রাইম ইউনিট সিটিটিসি সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
রবিবার (১১ জুলাই) ভোরে কুমিল্লা জেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে সিটিটিসি সাইবার অপরাধের তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আ.লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির চাকরি বা বদলি করিয়ে দেবে বলে টাকা দাবি করতো গিয়াসউদ্দিন কবির। কেউ কথামতো টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে ভিকটিমকে ভয়ভীতি ও সামাজিকভাবে হেয় করার হুমকি দিতো। এই চক্রটি কুমিল্লা জেলার অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের কাছ থেকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন ও পরিবেশমন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে টাকা দাবি করতো তারা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত কবির অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালতে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’