হাইতির নিহত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির স্ত্রী মার্টিন মইসি দেশে ফিরেছেন। ওই ঘটনায় আহত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।
শনিবার উড়োজাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাইতিতে পোঁছান মার্টিন মইসি। তাকে বহনকারী উড়োজাহাজ রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দেশে ফেরত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার হাইতির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জোভেনেলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ জুলাই। হাইতির ঐতিহাসিক শহর ক্যাপ-হাইতিয়েনে তার শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান হবে। এক কর্মকর্তা টুইটারে জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে জোভেনেলের শেষকৃত্যের প্রস্তুতির পাশাপাশি তাতে অংশ নিতে দেশে ফিরেছেন মার্টিন।
গত ৭ জুলাই সন্ত্রাসীরা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসির ব্যক্তিগত বাস ভবনে ঢুকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। হামলায় তার স্ত্রী মার্টিন গুরুতর আহত হন। পরে আহত মার্টিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে, প্রেসিডেন্টকে হত্যার মিশনে ২৮ জন অংশ নেয় বলে জানায় পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার নাগরিক। ২ জন হাইতির বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ ঘটনায়। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ৩ জন সন্ত্রাসী।
২০১৭ সালে জোভেনেল হাইতির প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং তা পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোভেনেলের মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং তিনি ডিক্রি জারি করে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশ শাসন করে আসছিলেন। প্রেসিডেন্ট মইসি নিহত হওয়ার পর সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী জোসেফ ক্লদ।