ম্যাচ শুরু হতে না হতেই লাল কার্ড। ১৪ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হওয়া ব্রাজিল আর সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারল না।
ইয়োকোহামার নিশান স্টেডিয়ামে টোকিও অলিম্পিকে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আইভরিকোস্টের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে অবশ্য আইভরিকোস্টও লাল কার্ড দেখেছে। তবে সেটা ম্যাচের শেষভাগে। ৭৯ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি। তবে ব্রাজিলকে গোল আদায় করতে দেয়নি।
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় দশজনের ব্রাজিলকে চড়াও হতে দেয়নি আইভরিকোস্ট। শেষদিকে এসে চ্যাম্পিয়নরা গোলের জন্য মরিয়া হয়ে একের পর এক আক্রমণ করে। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি।
প্রথমার্ধে বরং আইভরিকোস্টই ভালো খেলেছে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল তারা। ম্যাক্স এলাইন গ্রাদেইয়ের বাঁ পায়ের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৫ মিনিটে আমাদ দিয়ালোর শট আটকে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক সান্তোস।
৪৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তার আরেকটি জোরালো শট কর্নােরের বিনিময়ে রক্ষা করেন সান্তোস। পরের মিনিটেই দানি আলভেসের অ্যাসিস্ট থেকে অ্যান্তোনির বাঁ পায়ের শটকে কর্নার বানান আইভরিকোস্ট গোলরক্ষক ইরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ব্রাজিল। ৬২ মিনিটে ম্যাথিউস কানহার হেড রুখে দেন ইরা। ৭৭ মিনিটে ক্লদিনহোর ডান পায়ের শটও আটকান তিনি। ৮২ মিনিটে ক্লদিনহোর একই পায়ের শট একটুর জন্য পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
চার মিনিট পর গুয়েলার্মা আরেনার বাঁ পায়ের শট আটকে দেন ইরা। শেষদিকে ডিয়েগো কার্লোস, ম্যালকমরা একের পর এক চেষ্টা করলেও গোলমুখ খুলতে পারেননি। ফলে ০-০ সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল জার্মানিকে হারিয়েছিল ৪-২ গোলে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেলেও ‘ডি’ গ্রুপে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে তারা। সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আইভরিকোস্ট। তিনে সৌদি আরব আর চারে জার্মানি।