ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লাখ টাকার গরুর চামড়া আড়াই শ’!
Published : Monday, 26 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 26.07.2021 1:52:04 AM
লাখ টাকার গরুর চামড়া আড়াই শ’! রণবীর ঘোষ কিংকর।
কোরবানীর পশুর চামড়া গরিবের হক বলে খ্যাত। কিন্তু এ বছর চামড়া পর্যাপ্ত দাম না পেয়ে হতদরিদ্ররা তাদের হক থেকে বঞ্চিত হয়। মৌসুমী ব্যবসায়ী ও চামড়ার পাইকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ২শ থেকে আড়াইশ টাকায়!
পবিত্র ঈদুল আজাহা’র নামাজ শেষে পশু কোরবানীর সাথে সাথে পাড়া-মহল্লায় ছুটে বেড়ান ওই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। কেউবা একক আবার কেউবা সংঘবদ্ধ হয়ে একদিনের জন্য ওই ব্যবসায় নামে। তারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করে ওই চামড়া বিক্রি করেন আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে। অন্যান্য বছর ওই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনলেও এবছর প্রতি চামড়ায় গড়ে ১শ টাকা লাভ করেছেন বলেন জানা গেছে।
ঈদের দিন বুধবার (২১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি গ্রামে ২-৪জন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করেছে। পশু কোরবানী দাতাদের কাছ থেকে ওই চামড়া কিনে এনে সড়কের পাশে নির্দিষ্ট স্থানে স্তুপ করে রাতে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন।
গত কয়েক বছর যাবৎ চামড়ার ভাল মূল্য না পাওয়ায় এ বছর জলের দরে চামড়া বিক্রি করেছে পশু কোরবানীদাতারা। কোরবানী দাতারা অনেকেই আবার মসজিদ মাদ্রাসায় দান করে দিয়েছে ওই চামড়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ছোট গরুর চামড়া ২শ টাকা এবং বড় গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৩শ টাকায় বিক্রি করেছেন মুসল্লীরা। আবার কোথাও কোথাও বিক্রিও করতে পারেনি অনেকে।
চান্দিনার তুলাতলী এলাকার সাবেক পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন জানান- চামড়া টাকা মিস্কিনের হক। চামড়া বিক্রির টাকা দুস্থদের মাঝেই বিতরণ করা হয়। কিন্তু এ বছর ওই মিস্কিনরাও তাদের হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা এক লক্ষ টাকা মূল্যে যে গরু কোরবানী দিয়েছি এক ব্যবসায়ী আড়াইশ টাকা দামে বিক্রি করেছি।
পৌরসভার ছায়কোট এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী শাহজাহান জানান- তিন বছর আগে চামড়া কিনে পানিতে ফেলে দিতে হয়েছে। গত বছরও চামড়া কিনে লোকসান দিয়েছি। তাই এ বছর মৌসুমী ব্যবসায়ী কম ছিল। আমি গড়ে আড়াইশ টাকা করে ৬০টি গরুর চামড়া কিনেছিলাম রাতে সাড়ে ৩শ টাকা করে বিক্রি করেছি।
চান্দিনা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একেএম আমিরুল ইসলাম জানান- এ বছর চান্দিনায় ১২ হাজারে পশু কোরবানী হয়েছে। যেসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া যারা কিনে এখনও বিক্রি করতে পারেনি তারা যদি পর্যাপ্ত লবন মেখে রাখে তাদের প্রতিটি চামড়ায় ২শ থেকে আড়াইশ টাকা বেশি মুনাফা পেয়ে বিক্রি করতে পারবে।