মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজ বাড়ির উঠানে ৩৬ দিন লাশ পুঁতে রেখেছিল স্বামী। বুধবার সকালে হত্যাকারী স্বামীকে জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আটক স্বামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইনের সুবাস বাউরির স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জননী সুচিত্রা শব্দকর দীর্ঘদিন ধরে বাগানেই বসবাস করছিলেন। স্বামীর সংসারে থেকেই সুচিত্র শব্দকর সংসার চালানোর দায়ে চা বাগানের বাজারের পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
বাজারবাসী দীর্ঘ ১ মাস ধরে সুচিত্রা কাজে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুবাস বাউরি বলেন, সে হারিয়ে গেছে। এদিকে তাদের পরিবারে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে ধরে চলতি বছরের ২২ জুন স্বামী সুবাস তার স্ত্রী সুচিত্রা শব্দকরকে মেরে বাড়ির উঠানে পুঁতে রেখেছিল।
অপরদিকে সুচিত্রার মেয়ে সীমা শব্দকর তিলকপুরস্থ গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মাধবপুরস্থ পিতার বাড়িতে যায় বুধবার সকালে। সীমা তার পিতার কাছে মা (সুচিত্রা শব্দকর) কোথায় জানতে চাইলে বলেন- তর মাকে কুড়ালের হাতল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছি। মারার পর লাশটি বাড়ির উঠানে পুঁতে রেখেছি।
মেয়ে সীমা শব্দকর এ কথা শুনেই তার মা হারিয়ে যায়নি তার মাকে বাবাই মেরে ফেলেছে বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বুধবার সকালে স্থানীয়রা ঘাতক স্বামী সুবাস বাউরিকে পাত্রখোলা জামে মসজিদ এলাকা থেকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুবাস স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে এএসপি (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) সার্কেল শহীদুল হক মুন্সির নেতৃত্বে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ পুলিশের দল দুপুর ১টায় বাড়ির উঠানের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক স্বামীকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সুবাস বাউরি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।