চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩২০ জন সদস্যকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন গত মঙ্গলবার রাত থেকে নগরের খুলশী ও বায়েজিদ এলাকার পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে এনেছে। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এালাকায় চলছে সতর্কতা মাইকিং। আশ্রিতদের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্য।
জানা যায়, নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারী ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩২০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এর মধ্যে আল হেরা মাদ্রাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদ্রাসা, লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে। একই সঙ্গে ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তাছাড়া আশ্রিতদের জন্য মজুদ রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবার।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯২টি পরিবারের ৩২০ জন সদস্যকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার দুপুরে দেয়া হয় ভুনা খিচুড়ি ও ডিম সরবরাহ। রাতের খাবারের ব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। মাইকিং চলমান রয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়। এখনও চলছে। এখন পর্যন্ত ৩২০ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে। পাহাড় ধসে যাতে কোনো প্রাণহানি না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।