ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মারা গেল বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিঃসঙ্গ’ ভালুক
Published : Friday, 6 August, 2021 at 9:16 PM
মারা গেল বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিঃসঙ্গ’ ভালুকবিশ্বের সবচেয়ে ‘নিঃসঙ্গ’ বলে অভিহিত ভালুকটি উদ্ধারের কয়েক মাস পর মারা গেল। ইউক্রেনের সার্কাসে প্রদর্শনের জন্য ১২ বছর ধরে বন্দি ছিল এই ভালুকটি। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

জ্যাম্বোলিনা নামের এই ভালুকটি, তার কয়েক সপ্তাহ বয়স থেকে ইউক্রেনের সার্কাসের জন্য খাঁচায় বন্দি জীবন কাটাচ্ছিল। গত বছর ডিসেম্বরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে সুইস আলপাইন সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

১২ বছর বয়সী ইউরোপিয়ান ভালুকটির স্বভাব বদলাতে থাকে গত মে মাসের দিকে। তাকে নিয়মিত সার্জারির জন্য অন্যত্র নেয়া হয়েছিল।

অ্যানিমেল চ্যারিটি ফোর পাওস-এর মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, এটি একটি মর্মান্তিক ও গভীর বেদনাদায়ক ঘটনা। আমরা আপনাদের জানাচ্ছি যে, জ্যাম্বেলিনা হঠাৎ করেই মারা গেছে।

ইনজেকশন নেয়ার পর পরই তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে সে মারা যায়। তবে সঠিক কারণ আসলে কি তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি।

ক্রিমিয়ায় ২০০৯ সালে এক চিড়িয়াখানায় জন্ম তার। সেখানেই তাকে প্রদর্শন করা হত। এরপর কয়েক সপ্তাহ পর তাকে তার বাবা-মার কাছ থেকে আলাদা করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়া হয়, সার্কাসে প্রদর্শনের জন্য। সেখানে একটি ছোট খাঁচায় তাকে বন্দি করে রাখা হত আর প্রশিক্ষণ দেয়া হত দর্শকের সামনে পারফর্ম করতে। যেটিকে প্রাণী সংরক্ষণবিদরা এক ধরনের নির্যাতন বলছেন।

এক দশকের বেশি সময় ধরে সে খাঁচায় বন্দি। কোন দিন অন্য কোন ভালুকের সংস্পর্শে সে আসেনি এবং কোন প্রাকৃতিক পরিবেশে যাওয়ার অনুমতি পায়নি।

কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর সার্কাস বন্ধ হয়ে যায়। জ্যাম্বোলিনার মালিকের রোজগার ক যাওয়ায় সে আর তার খাওয়ানো আর যত্ন নিতে পারছিল না। পরে ফোর পাওস চ্যারিটি সেটিকে উদ্ধার করে এবং গত ৮ ডিসেম্বর তাকে সুইজারল্যান্ডে নেয়া হয়। ১৫শ মাইলের বেশি দূরত্বে আল্পসে যেতে ৪ দিন সময় লেগেছিল যেখানে তার জন্য নতুন বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। খুব দ্রুতই সে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছিল।

গত মে মাসে প্রথম কোন পুরুষ সঙ্গী, যার নাম মেইমো, তার সঙ্গে দেখা করানো হয় জ্যাম্বোলিনার। মেইমো ২০১৯ সাল থেকে রয়েছে সেখানে। জ্যাম্বোলিনার নতুন করে বাঁচার যে প্রবণতা তা দেখে স্টাফরা বেশ খুশি হতেন। কিন্তু তার দুই মাস পরে চলে গেল জ্যাম্বোলিনা। হয়ত ‘নিঃসঙ্গ’ হিসেবে পরিচিতিটাই তার জীবনের রহস্য, তাই তা রয়েই গেল।