তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে শুরুটাও হয়েছে প্রত্যাশা মতো। অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড ওপেনিংয়ে নেমেও ভাগ্য ফেরাতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারে নাসুমের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে। ওয়েড ফেরেন ১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩ রান। ক্রিজে আছেন ম্যাকডারমট (১৪) ও মিচেল মার্শ (১৮)।
এর আগে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করেছে ১২৭ রান।
বৃষ্টির হানায় অবশ্য ম্যাচ শুরু হয় সোয়া এক ঘণ্টার পর। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়েরই সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানরা অবশ্য এর যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি। পরে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ৪৪ রান, আফিফ-মাহমুদউল্লাহর ২৯ রান ও শেষভাগে মেহেদী-মাহমুদউল্লাহর ৩০ রানের জুটিই সমৃদ্ধ স্কোরবোর্ড পেতে সহায়তা করেছে।
তবে শুরুর পাওয়ার প্লের ফায়দা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাস্টন টার্নারের প্রথম ওভারে শুরুটা ছিল নড়বড়ে। সৌম্য সরকারের কঠিন ক্যাচ হাতের নাগাল পাননি অ্যালেক্স ক্যারি। তবে দ্বিতীয় ওভারে হ্যাজেলউডের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরে যান নাঈম। মাত্র ১ রানে এজ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পরের ওভারে জাম্পার ঘূর্ণির বলি হন সৌম্য। সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। শুরুতে আম্পায়ার আউট দিলেও সৌম্য রিভিউ নিয়েছিলেন। তাতেও লাভ হয়নি। মাত্র ২ রানে বিদায় নিতে হয় এই ওপেনারকে।
ধীর গতিতের পিচে পাওয়ার প্লেতে পর্যাপ্ত রান না আসায় এর পর কৌশলী ক্রিকেট খেলতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। তাতে রানের চাকাও ছুটতে শুরু করেছিল। সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠার পথেই এই জুটিতে আঘাত হেনেছেন অ্যাডাম জাম্পা। ৮.১ ওভারে তার ঘূর্ণি বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে লং অফে তালুবন্দি হন সাকিব। ১৭ বলে ২৬ রানে ফিরে যান এই অলরাউন্ডার।
এর পর অবশ্য আফিফ-মাহমুদউল্লাহ মিলে রানের চাকা সচল রাখছিলেন। অস্ট্রেলিয়ানদের মাথা ব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন দুজন। শেষ পর্যন্ত রানের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন আফিফ। রান আউটে তিনি ফিরে যেতে বাধ্য হন ১৯ রানে! তার ১৩ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়।
হঠাৎ ছন্দপতনে খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি শামীম হোসেন। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় চাপ বেড়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত উড়িয়ে মারতে গিয়েই সাজঘরে ফিরেছেন ৮ বলে ৩রান করে।
এর পর নুরুল হাসানও ফিরে গেলে চাপে পড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রান যোগানের সেই চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। ১৪ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
৫৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান শেষ দিকে। এলিসের বলে ফিরে যাওয়ার আগে তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার। অবশ্য এই অভিষিক্ত এলিসই এর পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক! পর পর ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসানকে। তাতে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ।
৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার নাথান এলিস। দুটি করে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।