কোনো আসনে না জিতেও স্বপদে বহাল আছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইন অনুসারে ছয় মাসের মধ্যে কোনো একটি আসনে জিততে হবে মমতাকে। এবার তিনি লড়বেন ভবানীপুর থেকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে নির্বাচন করে হেরে গেছেন। হেরেছেন আবার তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। মাত্র ১ হাজার ৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন তিনি।
কিন্তু এই পরাজয় এখনও মেনে নেননি। এ নিয়ে মামলা চলছে। ফলে ধোঁয়াশা ছিল, কোথা থেকে নির্বাচিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ টিকিয়ে রাখবেন মমতা। এই ধোঁয়াশার অবসান হতে যাচ্ছে। দলীয় সূত্র বলছে, সাবেক আসন ভবানীপুর থেকেই আবার লড়বেন মমতা।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের মধ্যে মমতার দল ২১৩টি আসন পায়। বিজেপি পায় মাত্র ৭৭টি আসন। শূন্য থাকে কংগ্রেস ও বাম দল।
রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছিল ২ মে। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা শপথ নিয়েছিলেন ৫ মে। সেই হিসাবে তাকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে রাজ্য বিধানসভায়।
মমতা নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করায় এবার বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ২৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন।
এর পর গত ২১ মে পদত্যাগ করেন তিনি। লক্ষ্য, উপনির্বাচনে ওই আসন ছেড়ে দেবেন মমতার জন্য। তবে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি। এই আসনে উপনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে দেনদরবার করে আসছে তৃণমূল।
এদিকে উপনির্বাচনের তারিখ নিশ্চিত না হলেও দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর এলাকায় মমতার পক্ষে প্রচার শুরু করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। নতুন স্লোগান তৈরি করে গত রোববার থেকে মাঠে নেমেছেন তারা।
এবার স্লোগান, ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। স্লোগানটি তৈরি করেছে মমতার দলের অঙ্গসংগঠন জয় হিন্দ বাহিনী।