জকিগঞ্জ উপজেলার গ্যাসক্ষেত্রকে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সোমবার (৯ আগস্ট) জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
এ ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন এক কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এ ক্ষেত্রের সম্ভাব্য মজুত ধরা হয়েছে ৬৮ বিলিয়ন ঘনফুট বলে বাপেক্স জানিয়েছে।
এর আগে ১৫ জুন সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভার আনন্দপুর গ্রামের ফায়ার স্টেশন লাগোয়া একটি কৃষি জমিতে গ্যাস পাওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। ১৬ জুন বাপেক্সের প্রতিনিধি দল সার্বিক বিষয় পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা থেকে সিলেটে যান। এর আগের দিন ১৫ জুন বেলা ১১টার দিকে কূপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা করা হয়। ওই সময় বলা হয়, কূপে গ্যাসের চাপ রয়েছে ১১ হাজার পিএসআই (প্রতি বর্গ ইঞ্চি)। কূপটিতে চার স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তখন জানানো হয়।
বাপেক্স সূত্র জানায়, এ ক্ষেত্রে গত ১ মার্চ থেকে ৭ মে পর্যন্ত খননকাজ করা হয়। মোট ১ হাজার ৯৮১ মিটারের একটি কূপ খনন করা। কূপের ২ হাজার ৮৭০ থেকে ২ হাজার ৮৯০ মিটার স্তরের মধ্যে এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এখন একটি কূপ খনন করলেও, সামনে আরও দুই থেকে মোট তিনটি কূপে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরও ছয় টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসাবে প্রমাণিত মজুত অবশিষ্ট রয়েছে তিন টিসিএফ। সম্ভাব্য মজুত রয়েছে সাত টিসিএফ।