নারায়ণগঞ্জের মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি রহুল আমিন রবিনকে (৩৫) মানিকগঞ্জের শিবালয় থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার আরিচা ঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিন মিতুর কথিত প্রেমিক। তাকে হত্যার পর রবিন শ্বশুর বাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ কবির বলেন, নিহত মিতু আক্তারের (২৮) বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। তার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি।
অন্যদিকে কাজের সন্ধানে মিতু নারায়ণগঞ্জে এলে রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্দর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি। সে বাসাতেই মিতুকে হত্যা করে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। কয়েকদিন পর পুলিশ বাসা থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, পুলিশ নিহত মিতু আক্তারের পরিচয় নিশ্চিত হলেও মরদেহ গ্রহণ করেননি স্বজনরা। পরে বন্দর এলাকাতেই তাকে দাফন করা হয়। হত্যার ঘটনায় গত ১৬ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় মামলা হয়। পুলিশ ঘটনা তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি হিসাবে রবিনের নাম ওঠে আসে। হত্যার পর রবিন শ্বশুর বাড়ি এলাকায় এসে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের একজন আনসার সদস্য পরিচয় দিয়ে আরিচা ঘাটে পরিবহন সিরিয়াল দেয়ার কাজ নেন।
ওসি ফিরোজ করিব আরও জানান, গ্রেফতার এড়াতে রবিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। রোববার সন্ধ্যায় তিনি আরিচা ঘাটে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার রবিনকে নারায়ণগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।