আগামী ২৪
আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসছে নিউজিল্যান্ড। তিনদিন রুম কোয়ারেন্টিন করেই মাঠে
ফেরার সুযোগ পাবে কিউইরা। অস্ট্রেলিয়াও তিনদিনের রুম কোয়ারেন্টিন সেরে মাঠে
ফিরেছিল। যদিও বাংলাদেশ সফরে নানা শর্ত দিয়েই তারা এসেছিল। এক সপ্তাহেরও
বেশি সময় ধরে সেই শর্তগুলো শতভাগ পালন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিবি)। নিউজিল্যান্ডের েেত্রও কী একই ব্যবস্থাপনা থাকবে? বাংলাদেশ
ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,
অস্ট্রেলিয়ার মতো ঠিক একই পরিকল্পনা না থাকলেও সেই মানের কাছাকাছি জৈব সুরা
বলয় থাকবে এই সিরিজে।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ
মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেছেন, ‘একটু আলাদা বিষয় তো থাকবেই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া চার্টার্ড
ফাইটে এসেছিল, তারা কমার্শিলায় ফাইট বা রেগুলার ফাইট ব্যবহার করেনি। এ
জন্যই তারা চেয়েছিল নূন্যতম মানুষের সংস্পর্শ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে হোটেলে
আসতে। যেহেতু নিউজিল্যান্ড কমার্শিয়াল ফাইটে আসছে, তাদের জন্য বিষয়টা এরকম
প্রযোজ্য হবে না। এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে যতটা সম্ভব মানুষের সংস্পর্শ
ছাড়া ওরা যেন হোটেলে যেতে পারে।’
এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ। ইমিগ্রেশনের
ঝামেলায় না গিয়ে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে চলে যাওয়া, পুরো হোটেল
বুকিং দেওয়া, সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ বেশ কিছু কঠিন শর্ত দিয়েছিল
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিসিবি সব শর্তই মেনে নিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডও কী এমন
কিছু চেয়েছে? এর জবাবে প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক
সিরিজ হচ্ছে। সেহেতু তারাতো চাইবেই অস্ট্রেলিয়া যেমন সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে,
তাদেরকেও যেন সেটা দেওয়া হয়। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যতটুকু সম্ভব বিষয়টা যেন
নিশ্চিত করা যায়। কারণ স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টা কিন্তু শুধু
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তথা বিদেশি দলের জন্যই না, আমাদের খেলোয়াড়দের
জন্যও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাজ করছি এবং
পরিকল্পনা করেছি।’
এদিকে সব শর্ত মেনে নিয়ে চাহিদামাফিক বায়ো-বাবল তৈরি
করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেই কথা সংবাদ মাধ্যমকে
জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, ‘ওরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমার মনে
হয়, তারা যা পেয়েছে তা প্রত্যাশার বেশি ছিল।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
যথাযথভাবে আয়োজন করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে নিজামউদ্দিন
বলেছেন, ‘অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসার আগে
থেকেই আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও মেডিকেল বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে
আসছিল। বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে তাদের প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সুরায় যে
চাহিদাগুলো ছিল, সেগুলো তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিল। সেগুলো নিশ্চিত করা
একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।’