অনলাইন প্লাটফর্মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে বিমানের টিকিট বিক্রি যেমন কমেছে, তেমনি ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এজন্য বিমান কর্তৃপক্ষ দোষছেন অনলাইন প্লাটফর্মে টিকিট বিক্রি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রাভেল শপ লিমিটেডকে। অন্যদিকে, ট্রাভেল শপের দাবি সার্ভারের ভাড়া বিমান পরিশোধ না করায় বন্ধ হয়েছে সেবা।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি চালু হয় ‘বিমান হলিডেজ’। তৎকালীন বিমান চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল অব. মোহাম্মদ ইনামুল বারী আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। বিমানের এই হলিডে উইং পরিচালনার দায়িত্ব পায় ট্রাভেল শপ। ট্রাভেল শপের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন অব. নাজমুল আনাম উপস্থিত থেকে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরবর্তী সময়ে এই প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিমানের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে টিকেট বিক্রয়ের কার্যক্রম পরিচালনার। ২০১৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তিও হয়।
ট্রাভেল শপের এক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে আমরা সেবা দিয়ে গেছি, কোন অভিযোগ আসেনি। ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির মধ্যেও এখন পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে। আমাদের সেবার মান খারাপ হলে এতো টিকিট বিক্রি কিভাবে হলো । এখন অনলাইনে সেবা দিতে গেলে সার্ভারের প্রয়োজন, সেটার ভাড়া বিমানকেই দিতে হবে, বিমান যদি সার্ভারের ভাড়া না দেয় তাহলে সেবা বন্ধ হওয়াই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কোন অদক্ষতা বা দায় নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সাময়িকভাবে অনলাইন প্লাটফর্মের টিকেট বিক্রয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠানটি বিমানের প্রত্যাশিত কার্যক্রম সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধাপে বার বার ব্যর্থ হয়। অবশেষে ১০ আগস্ট থেকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অনৈতিকভাবে বিমানকে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে বিরত হয় এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রয়াস গ্রহণ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিশ্ব স্বীকৃত সার্ভিস প্রোভাইডারের মাধ্যমে শীঘ্রই উন্নত অনলাইন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে যাচ্ছে।