প্রথমার্ধে গোল মিসের মহড়া দিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। সেই সুযোগে দুই গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। বিরতির পর অবশ্য দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল মারিও লেমসের দল। কিন্তু শেষের দিকে জয়সূচক গোল পেয়ে আবাহনীকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুর দল।
আবাহনী ২১ ম্যাচে তৃতীয় হারে আগের ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ১১তম জয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে সাইফ স্পোর্টিং।
শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে আবাহনীর একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল। কিন্তু জুয়েল রানা-কেরভেন্স বেলফোর্ট-ফয়সাল আহমেদ শীতলরা অন্তত হাফ ডজন গোলের সুযোগ পেয়েও সেগুলো নষ্ট করেছেন। তা নাহলে আবাহনী এই অর্ধেই গোলের খাতা খুলতে পারতো।
তাদের ব্যর্থতার সুযোগে ৪৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় সাইফ। জন ওকোলির ক্রসে কেনেথ ইকেচুকু প্লেসিং করে জাল কাঁপিয়ে দেন। ইনজুরি সময়ে স্কোর ২-০ করে সাইফ। মোহাম্মদ রহিমের পাসে জন ওকোলি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। বিরতির পর ৭১ মিনিটে কেনেথ ইকেচুকুর বক্সোর বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে ব্যবধান আরও বাড়তো সাইফের।
আবাহনী অবশেষে ঘুরে দাঁড়ায় ৭৬ মিনিটে। বেলফোর্টের হেড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পাপ্পু। ফিরতি বলে বেলফোর্টেরই প্রচেষ্টায় বল জড়িয়ে যায় জালে। ৭৭ মিনিটে দীপক রায়ের কাটব্যাকে জুয়েল রানা লক্ষ্যভেদ করে আবাহনীকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন।
কিন্তু নাটকীয় ম্যাচে ৮১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্যাটব্যাক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন কেনেথ ইকেচুকু।