ঢাকায় যাওয়ার সময় হঠাৎ ফেরির পল্টুন থেকে পদ্মায় পড়ে যায় এক গৃহবধূ ও তাঁর ছেলে। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর পদ্মায় ভাসছিলেন তিনি। এ সময় ঘাটে দায়িত্বরত মনির শেখ নামে এক ফেরি শ্রমিক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রোকসানা ইসলাম (২৭) ও তার শিশু সন্তান মেহেবার হোসেন (৪)।
আজ শুক্রবার জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫নং ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটের আমানত শাহ নামের একটি রো-রো ফেরি যাত্রী আনলোড করছিল। ঘাটে ফেরি দেখে দ্রুত ফেরিতে উঠতে যান হাসানুজ্জামান। তাঁর পিছু পিছু ছিল তার স্ত্রী ও তাঁদের সন্তান। র্যাম দিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস উঠছিল। বাসটিতে চাঁপা লাগার ভয়ে তারা নদীতে পড়ে যান। এ সময় নদীতে স্রোত থাকার কারণে তাঁরা ভেসে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিসির (লস্কর) মনির শেখ বিষয়টি দেখার পর নদীতে ঝাঁপ দিয়ে রোকসানাকে ধরে ফেলেন। তীব্র স্রোতে যখন রোকসানা ও তার শিশু সন্তানকে ধরে রাখতে পারছিলেন না মনির, তখন দ্রুত রোকসানার স্বামী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দুইজন রোকসানা ও তাঁর সন্তান মেহেরাব হোসেনকে উদ্ধার করেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহক কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, আমাদের লস্কর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের প্রাণে বাঁচিয়েছেন। তবে ফেরি আনলোডের সময় গাড়ি প্রবেশ বন্ধ। পল্টুনের উপর ইজিবাইক, মোটরসাইকেল দাঁড়ানো এগুলো বন্ধ করা না গেলে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।