মাসুদ
আলম।। কুমিল্লায় করোনা মহামারি ও লকডাউনে গবাদিপশু ও হাসঁ-মুরগি খাতের
ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ হাজার খামারি পাচ্ছেন সরকারি প্রণোদনা। ছোট ছোট প্রান্তিক
খামারিদের ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
প্রাণিসম্পদ
খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি খামার
কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে
উপহার হিসেবে এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কুমিল্লায় প্রাণিসম্পদ খাতে
ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ হাজার ৯৫৫ খামারিদের মধ্যে ডেইরি ও পোল্ট্রি খাতে ৫টি
ক্যাটাগরিতে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় জেলায় প্রায় ৫২ হাজার রয়েছে।
করোনা মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতিগ্রস্ত এসব
খামারিদের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৫৫জন খামারিকে এই প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে।
গাভীর খামার, সোনালী, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগি এবং হাসেঁর খামারি। তাদেরকে
৫টি ক্যাটাগরিতে প্রণোদনার নগদ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে পুরুষ
১৩ হাজার ৪৪৬ এবং নারী ৩ হাজার ৫১৪ খামারি রয়েছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জেলার ১৬হাজার ৯৫৫ জন
খামারি প্রণোদনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের
মোবাইল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার এ প্রণোদনার টাকা বিতরণ করতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে অনেক কিছু খামারি আমাদেরকে নিশ্চিত করেছে তারা বিকাশের মাধ্যমে
সরকার থেকে পাঠানো প্রণোদনা পেতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, প্রণোদনার
জন্য পাঠানো তালিকা একাধিকবার যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তালিকা যাচাইয়ে
উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও কমিটি নিরলসভাবে কাজ করেছে। ক্যাটাগরি
অনুযায়ী কুমিল্লা থেকে পাঠানো তালিকায় কোন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি বাদ যায়নি।
স্বচ্ছতার সঙ্গে একাধিকবার তদন্তের পর ওই তালিকা নিশ্চিত কার হয়।
তিনি
আরও জানান, ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রণোদনা পেতে যাওয়া ১৭ হাজার খামারিদের মধ্যে
আদর্শ সদরে ৬৬৮ জন, চৌদ্দগ্রামে ১২৫১জন, বরুড়ায় ২০৭৯জন, লাকসামে ৪৭৫ জন,
নাঙ্গলকোটে ১১৪৯, চান্দিনায় ৭০১জন, দাউদকান্দিতে ৫৮৩জন, দেবিদ্ধারে ৬৩৩জন,
মুরাদনগরে ১৫০০জন, বুড়িচংয়ে ১২২৩জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৯১৬জন, হোমনায় ৭৬২ জন,
মেঘনায় ৬০৬জন, তিতাসে ৬৭৫জন, সদর দক্ষিণে ১০০২জন, মনোহরগঞ্জে ৫৯৭ জন এবং
লালমাইয়ে ২১৩৫ জন।